বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

কভিড ভ্যাকসিন

দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগে সংগ্রহ জরুরি

সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কভিড-১৯-এর  ভ্যাকসিন সংগ্রহের চেষ্টা করছে যা একটি সহয়োপযোগী পদক্ষেপ। এ ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে অথবা অর্থের বিনিময়ে সরবরাহ করা হবে। ভ্যাকসিন অর্থের বিনিময়ে সরবরাহ করা হলে প্রতি ডোজের জন্য খরচ পড়বে ৫ ডলার বা ৪২৩ টাকা। ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন কেনার জন্য অর্থ বিভাগ স্বাস্থ্য বিভাগকে ৬৩৫ কোটি টাকা ছাড় দিয়েছে। ভ্যাকসিন কেনার জন্য প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্য বিভাগ চেয়েছিল ১ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের ভ্যাকসিন কিনতে মোট প্রয়োজন হবে ১৪ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাকসিন কেনার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। বাকি অর্থ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে পাওয়ার আশা করছে সরকার। ভ্যাকসিন কার্যক্রম প্রচারের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। ভ্যাকসিন কেনার জন্য নানা দেনদরবারের পর উন্নয়ন সহযোগীরা ১ বিলিয়ন ডলার বা ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রদানের মোটামুটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর বাইরে বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও রাজস্ব আদায় কমে যাওয়ায় এনবিআর ২ থেকে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি দিতে পারবে না, এমনটিই আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশের সব মানুষের জন্য কভিডের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হলে সাড়ে ১৬ কোটি ডোজ কিনতে হবে। আনুমানিক হিসাবে এতে মোট ব্যয় হবে ১৪ হাজার কোটি টাকা।  ভ্যাকসিন কেনার জন্য ইতিমধ্যে বাংলাদেশের একটি ওষুধ কোম্পানি ভারতীয় ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। ভারতীয় ওষুধ কোম্পানিটি অক্সফোর্ডের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে। এ ভ্যাকসিনটি আগামী মাস নাগাদ বাজারে আসবে বলে ব্যাপকভাবে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ ভ্যাকসিনটি পেতে আগ্রহী। কভিড-১৯-এর প্রথম ঢেউ বাংলাদেশে ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া না দেখালেও অর্থনীতির জন্য যে বিপর্যয় ডেকে এনেছে তা উদ্বেগজনক। দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার আগে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা গেলে তা সুসংবাদ বলে বিবেচিত হবে। ব্যয় কমাতে এ ভ্যাকসিন সমাজের সম্পন্ন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অর্থের বিনিময়ে সরবরাহের বিষয়টি ভাবা যেতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর