বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পানীয় জলের সংকট

উপকূলবাসীর দিকে নজর দিন

দেশের উপকূলীয় এলাকায় মিঠা পানির অভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। ঘূর্ণিঝড় ও নিম্নচাপের সময় বারবার বাঁধ ভেঙে সমুদ্রের লোনা জল প্রবেশ করায় উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততার ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে গত সোমবার পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে পানিবিষয়ক সেমিনারে বলা হয়, ‘বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে লবণাক্ততার কারণে উপকূলীয় এলাকায় মিঠা পানির প্রাপ্যতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। সংকট নিরসনে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় বড় বড় জলাধার খনন করা হলেও অধিকাংশ সময় সে পানি পান করা যায় না। ফলে নিরাপদ পানির অভাবে উপকূলীয় এলাকার জীবন-জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। খুলনার দাকোপ এলাকার একজন জনপ্রতিনিধির অভিযোগ, বছরের নয় মাস তার এলাকায় পানির সংকট থাকে। দুর্যোগের কারণে খাল-পুকুর ভরাট এবং চারপাশের লবণাক্ততায় পুকুর-জলাধার খনন করা হলেও কিছুদিনের মধ্যে পানি দূষিত হয়ে যায়। সঠিক সংরক্ষণের অভাবে বৃষ্টির পানিও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জীবন বাঁচাতে দূরদূরান্ত থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। সেমিনারে বলা হয়, সঠিক তথ্য-উপাত্ত না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নেও সুফল আসছে না। মিঠা পানির উৎস তৈরির জন্য পুকুর-জলাধার খনন করা হলেও নিচ থেকে লবণপানি ঢুকে দূষিত করছে। নিরাপদ পানির সংকট উপকূলীয় এলাকায় সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালীসহ আরও কয়েকটি জেলায় লবণাক্ততার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। বাংলাদেশকে বলা হয় পানির দেশ। অথচ পানির দেশেই লাখ লাখ মানুষের পানযোগ্য পানির অভাব রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অনিবার্য বিপদ হিসেবে লবণাক্ততা যেমন বাড়ছে, তেমন বাড়ছে পানি সংকট। সমস্যা

নিরসনে ব্যাপক গবেষণা ও ডাটা প্রণয়নের কোনো বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর