সরকারি অর্থ ব্যয়ে দেশজুড়ে যেসব রাস্তা, সেতু ও কালভার্ট তৈরি হচ্ছে সেগুলোর মান ঠিক থাকছে কি না, সেই নজরদারি জোরদার করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি সারা দেশের গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামো নির্মাণে একটি মহাপরিকল্পনা তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা তাৎপর্যের দাবিদার। একনেক সভায় পাঁচটি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্প অন্যতম। নদী ভাঙন রক্ষায় মূল কৌশল সম্পর্কে বলা হয়েছে একটি চ্যানেলে সব সময় প্রবাহ রাখতে হবে। নদীর প্রবাহ ঠিক রাখলে ভাঙন থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। একই সঙ্গে বর্ষায় যখন পানির খুব চাপ বেড়ে যায় তখন সে চাপ যেন আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে এ জন্য বাঁধের পাশাপাশি একটা বাফার জোন থাকতে হবে। এতে বাঁধ বা লোকালয় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। বড় নদীর পাশে ছোট ছোট নদী অনেক সময় ভরাট হয়ে পানি ধারণ ক্ষমতা কমে যায়। যার কারণে বড় নদী অনেক প্রশস্ত হয়ে জনপদ প্লাবিত করে। এ জন্য ড্রেজিং, ক্যাপিটাল ড্রেজিং, নিয়মিত ড্রেজিং, বাফার জোন তৈরি, ছোট ছোট নদ-নদী খনন ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের নির্দেশনা ছিল। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় যারা গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজটা করতে হবে। যাতে কোনো ওভারল্যাপিং না হয়। কোন কাজটুকু করতে হবে, কত কাজ বাকি থাকছে, কোন মন্ত্রণালয় করলে ভালো হয় এগুলো সমন্বয় করে বাস্তবায়ন করতে হবে। জনগণের অর্থ সাশ্রয়ের বিষয় মাথায় রেখে সড়ক পুনর্নির্মাণ ও সংস্কারের গুণগতমান অক্ষুণœ রাখতে আগামী বর্ষার আগেই মূল কাজগুলো শেষ করা হবে- এমনটিই প্রত্যাশিত।