শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সরকারি চিকিৎসক

মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে হবে

দেশে পেশাজীবীদের মধ্যে চিকিৎসকদের আয়-রোজগার বেশ ভালো। হাসপাতালের পাশাপাশি প্রাইভেট প্র্যাকটিসও করেন। এ নিয়ে নানা সময় নেতিবাচক খবর ছাপা হয় পত্রপত্রিকায়। সাধারণ রোগী হাসপাতালে গিয়ে অধিকাংশ সময় চিকিৎসকদের সেবাবঞ্চিত হন। সরকারি চিকিৎসকরা অফিস টাইমে প্রাইভেট রোগী দেখেন। হাসপাতালে তাদের নাগাল পাওয়া গেলেও রোগীর সমস্যার কথা মন দিয়ে না শুনে বাড়তি ওষুধ, অকারণে টেস্ট প্রেসক্রাইপ করেন। অফিস চলাকালীন এবং অফিস সময়ের পর তারা প্রাইভেট প্র্যাকটিসের জন্য আলাদা চেম্বারও নেন। তাদের আয় করযোগ্য হলেও নিয়মিত তা পরিশোধ করেন কি না এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। রোগীরাই মন্তব্য করেন সরকারি চিকিৎসকদের সেবার চেয়ে উপার্জন মুখ্য হয়ে উঠছে। ইতোপূর্বে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের অফিস চলাকালীন প্রাইভেট প্র্যাকটিস নিয়ে ক্ষোভ ও বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। বুধবার সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জনস্বাস্থ্য-১ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং টাস্কফোর্স কমিটির আহ্বায়কের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত হয়, অফিস চলাকালীন সরকারি হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক বেসরকারি স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠানে থাকতে পারবেন না। কোনো কারণে কর্মরত অবস্থায় থাকলে টাস্কফোর্স ও সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানাতে হবে। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ফি নির্ধারণেরও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেগুলো হলো- হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাব ও ক্লিনিকগুলোয় স্পষ্টভাবে লাইসেন্স নিবন্ধন নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিদর্শন এবং অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবে টাস্কফোর্স। অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়। বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্যসেবা-সংক্রান্ত চিকিৎসা ফি, টেস্ট ফিসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণ করে দিলে মানুষ উপকার পাবে। সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্য নিয়মিত তদারকি থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর