সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

জনগণের বাহিনী

সশস্ত্র বাহিনী জাতির গর্ব ও অহংকার

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠেছে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। ট্রাডিশনাল সশস্ত্র বাহিনীর বদলে জনগণের বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের অধিকারী তারা। এ অসামান্য ঐতিহ্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আলাদাভাবে চিহ্নিতকরণের সুযোগ এনে দিয়েছে। যেখানেই তাদের নিয়োগ করা হয়েছে শান্তি স্থাপনের পাশাপাশি সে এলাকার মানুষের হৃদয় রাজ্যে স্থান পাওয়াকে তারা তাদের কর্তব্য বলে ভেবেছে। ফলে ঝঞ্ঝাকবলিত বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সর্বোচ্চ প্রশংসা অর্জন করেছে। সাধারণ মানুষের সেবাকেও তারা শান্তি রক্ষার অপরিহার্য অংশ হিসেবে বেছে নিয়েছে। জনগণের বাহিনী হিসেবে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা শুধু দেশমাতৃকার মুক্তি সংগ্রামেই অনুভূত হয়নি, যে কোনো দুর্যোগ দুর্বিপাকে তারা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ তৎপরতায় তাদের অবদান সবারই জানা। চলমান করোনা মহামারী মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জনবান্ধব ভূমিকা প্রশংসার দাবিদার। করোনা মহামারীতে কর্তব্য পালন করতে গিয়ে তাদের বিপুলসংখ্যক সদস্য ঘাতক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারানোর সংখ্যাও কম নয়। সশস্ত্র বাহিনীর জনবান্ধব অবস্থান ও জাতিসংঘ শান্তি মিশনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্পষ্ট করে বলেছেন, জাতির পিতা প্রবর্তিত ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’- মূলমন্ত্র দ্বারা বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতিমালা পরিচালিত। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ নীতি অনুসরণ করছে বাংলাদেশ। তবে যে কোনো আগ্রাসন প্রতিরোধ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার ব্যাপারেও বাংলাদেশ সদা প্রস্তুত ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। দেশের উন্নয়নেও সহযোগী ভূমিকা পালনের কৃতিত্বের দাবিদার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। সশস্ত্র দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে পুরো দেশবাসীর অভিমতের প্রকাশ ঘটেছে। মুক্তিযুদ্ধের মহান বিজয়ের ঐতিহ্যবাহী সশস্ত্র বাহিনী জাতির গর্ব ও অহংকার। নিজেদের সুনাম সমুন্নত রাখতে দৃঢ় মনোভাব ও দেশপ্রেমের প্রত্যয়ে তারা প্রদীপ্ত হবে এ  কামনা দেশের প্রতিটি মানুষের।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর