মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

অর্থ পাচারকারীদের ধরুন

আদালতের নির্দেশ অভিনন্দনযোগ্য

যত দোষ নন্দ ঘোষের মতো আমাদের দেশে সবকিছুতেই রাজনীতিকদের দোষ দেওয়া হয়। সরকারি কর্মকর্তা আর আমলারা যেন ধোয়া তুলসীপাতা। তবে এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি মন্তব্য অনেকেরই চোখ খুলে দিয়েছে। তিনি বলেছেন রাজনীতিবিদ নন বিদেশে অর্থ পাচারকারীর বেশির ভাগই সরকারি কর্মকর্তা। রাজনীতিক হোক, সরকারি কর্মচারী হোক আর ব্যবসায়ী হোক অবৈধভাবে যারা বিদেশে অর্থ পাচারে জড়িত তারা যে জাতীয় বেইমান এ বিষয়টি স্পষ্ট করেছে দেশের হাই কোর্ট। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ কানাডার বেগমপাড়ায় অর্থ পাচারকারী সরকারি কর্মকর্তা কারা তা জানতে চেয়ে বলেছে বিদেশে অর্থ পাচারকারীরা জাতীয় বেইমান, দেশের শত্রু। তাদের নাম প্রকাশ করা না হলে অপরাধ কমবে না বলে মনে করে উচ্চ আদালত। আদালতের অভিমত, দেশের মাটিতে থাকবে, পড়াশোনা করবে কিন্তু সব শেষে দেশকে ঠকিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করবে তা তো হতে পারে না। দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকলে তা কখনো করতে পারে না। হাই কোর্ট বেঞ্চ ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে দুদক চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে তথ্য চেয়েছে। সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন কানাডায় অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে সরকার। পাচারকারীর বেশির ভাগ সরকারি কর্মকর্তা। তবে তাদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি। কারও বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। গত রবিবারের আদেশে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে ‘নিষ্ক্রিয়তা’ কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করাও হয়েছে। কানাডার বেগমপাড়ায় কারা অর্থ

পাচার করেছেন তার তালিকা চেয়ে উচ্চ আদালতের স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ অর্থ পাচারকারী জাতীয় বেইমানদের আইনের আওতায় আনার বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

অভিনন্দনযোগ্য এ পদক্ষেপ দুর্নীতির রাশ টেনে ধরতে অবদান রাখবে, এমনটিও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর