মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ

আইসিইউ সংকট দূর করুন

করোনা শনাক্ত রোগী, সংক্রমণ শনাক্তের হার ও মৃত্যু- পরিস্থিতি বোঝার মূল তিন সূচকেই ঊর্ধ্বমুখী ধারা দেখা যাচ্ছে। কয়েক দিন ধরে দেশে সংক্রমণ করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে। রবিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ শনাক্তের হার ছিল ৭৯ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ সময়ে মারা গেছেন আরও ৩৮ জন। করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯-এর রোগীদের অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে শ্বাসকষ্ট অন্যতম। যেসব রোগীর শ্বাসকষ্ট সহনীয় মাত্রায় থাকে তাদের শ্বাস গ্রহণের জন্য অক্সিজেন নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু যাদের শ্বাসকষ্টের মাত্রা অনেক বেড়ে যায় তাদের শ্বাসযন্ত্র সচল রাখতে বাইরে থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হয়। শুধু করোনায় আক্রান্ত রোগী নন আরও অনেক গুরুতর রোগীর জন্য অক্সিজেন সরবরাহ জরুরি হয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে ঢাকার বাইরে সাত বিভাগেও চিকিৎসা-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে। তবে সাত বিভাগে অনেক আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত করা হলেও সংকট নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ)। সম্প্রতি জেলা পর্যায়ে ১০ শয্যাবিশিষ্ট আইসিইউ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, যা দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি। ২২ সেপ্টেম্বর দেশে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত শয্যা ছিল ১৩ হাজার ৬১৮টি। হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিলেন ২ হাজার ৮১৯ জন। ফাঁকা ছিল ১০ হাজার ৭৭৯টি শয্যা। আইসিইউতে রোগী ভর্তি ছিলেন ২৬০ জন, শয্যা ফাঁকা ছিল ২৭২টি। ঢাকার সরকারি বড় বড় হাসপাতালে অন্তত একটি করে ফ্লোরে পুরোটাই আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করা যেতে পারে। ঢাকার বেসরকারি সব হাসপাতালে আইসিইউ সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। এতে শুধু করোনাই নয়, যে কোনো জরুরি রোগীর আইসিইউ সংকট কাটতে পারে। করোনা আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন রোগীদের তৎক্ষণাৎ প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠাতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

মাস্ক পরলে করোনার থাবা অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব, এ ব্যাপারে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর