বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বাণিজ্য সহজীকরণ

আমলাতান্ত্রিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে

বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনো আন্তর্জাতিক মান দূরের কথা আঞ্চলিক মানেও পৌঁছাতে পারেনি। বাংলাদেশ বিশ্বের জনসংখ্যার প্রথম কাতারের ১০টি দেশের একটি। কিন্তু বিশ্ববাণিজ্য সূচকে অবস্থান পেছনের কাতারে। ব্যবসাসংশ্লিষ্ট প্রশাসনের বৈরী আচরণের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও সেভাবে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষিত হচ্ছে না। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ব্যবসার ক্ষেত্রে কী প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছেন তা স্পষ্ট করা হয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়- রপ্তানি পণ্যে ত্রুটি থাকায় ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান প্রায় দেড় বছর আগে ৩টি কোম্পানির পণ্য ফেরত পাঠায়। কারখানার মালিকরা ওই পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আনতে গেলে বাগড়া দিয়ে বসে কাস্টমস। তাদের দাবি, ওইসব পণ্যের জন্য নতুন যত আমদানি ট্যাক্স আছে তার সবই দিতে হবে। দেখা গেল ১ কোটি ১৭ লাখ টাকার পণ্যে ট্যাক্স আরোপ করা হলো ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। অথচ এসব পণ্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত, একটিও আমদানি নয়। ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাংকের সহজে ব্যবসা করা সূচকে ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৭৭তম। পরের বছর এক ধাপ এগিয়ে ১৭৬তম হয়। তখনই ব্যবসা সহজ করে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে কাজ শুরু করে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিডার গভর্নিং বোর্ডের দ্বিতীয় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসা সহজীকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ২ অঙ্কে অর্থাৎ ১০০-এর নিচে নামিয়ে আনার নির্দেশ দেন। কিন্তু তিন বছরেও ব্যবসা সহজীকরণের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয়নি সরকারপ্রধানের নির্দেশনা সত্ত্বেও। তবে এই সময়ে বাংলাদেশ ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৬৮তম স্থানে উন্নীত হয়েছে। সরকারের সদিচ্ছা সত্ত্বেও ব্যবসা সহজীকরণ সম্ভব হয়নি আমলাতান্ত্রিক দৌরাত্ম্যে।

এ ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে হলে আগে আমলাতন্ত্রের রাশ টেনে ধরতে হবে। ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে পকেটভর্তির সংস্কৃতির উচ্ছেদ করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর