বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

জনশক্তির বাজার

কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে

জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে বড় তিনটি শ্রমবাজারের মধ্যে দুটি কার্যত বন্ধ হয়ে আছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আর সাত বছর ধরে কর্মী পাঠানোয় গতি নেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে। নতুন করে বড় কোনো শ্রমবাজারেও ঢুকতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে বিদেশে কর্মী পাঠানো। বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি মূলত মধ্যপ্রাচ্যকে কেন্দ্র করে। জনশক্তি, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, গত বছর বিদেশে যাওয়া মোট কর্মীর ৯০ শতাংশ গেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয়। শুধু সৌদি আরবে গেছে ৫৭ শতাংশ কর্মী। পুরনো শ্রমবাজারগুলোর দুর্দশা কিছুতেই কাটছে না। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের শ্রমবাজারের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে, রেমিট্যান্সের প্রবাহ ধরে রাখতে ও বৈধ পথে বিদেশযাত্রা অব্যাহত রাখতে নতুন শ্রমবাজারকে টার্গেট করা হয়েছে। অবশ্য কয়েক বছর ধরেই অব্যাহত চেষ্টা চলছে এ ধরনের বাজার খোঁজার। নতুন শ্রমবাজার হিসেবে জাপান, ইউরোপের বেশ কিছু গন্তব্য যেমন ক্রোয়েশিয়া ও পোল্যান্ডকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। উজবেকিস্তান থেকে বেশ কিছু চাহিদাপত্র আসায় কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে। জন্মহার কম ও কর্মক্ষম জনশক্তি দিন দিন কমে আসছে এমন ৫৩টি দেশে শ্রমবাজার অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়েছিল আগেই। যার ধারাবাহিকতায় এরই মধ্যে সেশেলস ও মরিশাসে জনশক্তি পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত বিকল্প শ্রমবাজার তৈরির লক্ষ্যে পোল্যান্ড, আলজেরিয়া ও জাপানে যোগাযোগ বাড়িয়েছে মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২০ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক দশকে দেশভিত্তিক জনশক্তি রপ্তানি পরিস্থিতির ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। করোনাকালেই ফিরল প্রায় ৩ লাখ, অর্ধেকই সৌদি ও আমিরাতের। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে কাজ না থাকা, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া, প্রতারিত হওয়া এবং ভিসার মেয়াদ শেষ বা কাজের অনুমতি না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে ফেরত আসতে হয়েছে তাদের। এর সিংহভাগেরই ফিরে যাওয়া অনিশ্চিত। কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর