শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

চারা বাণিজ্যের আধুনিক রূপ

শাইখ সিরাজ

চারা বাণিজ্যের আধুনিক রূপ

একটা সময় বীজই ছিল সম্পদ। মানে যে কৃষকের হাতে অধিক বীজ সংরক্ষিত থাকত তিনিই ছিলেন সবচেয়ে ধনী। আমি যখন কৃষি সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত হলাম, গত শতাব্দীর সেই আশির দশকে, তখনো দেখেছি কৃষি মানেই ধান-পাট। কৃষকের বাড়ির আঙিনার মাচায় কিংবা ঘরের চালে তুলে দেওয়া হতো লাউ বা কুমড়ার গাছ কিংবা অন্য কোনো সবজি। বাড়ির সামনের উঁচু খেতে চাষ হতো রবিশস্য। পিঁয়াজ, রসুন থেকে শুরু করে কোথাও কোথাও আদা, হলুদও। এসব ফসল চাষের উদ্দেশ্য ছিল একেবারেই পারিবারিক চাহিদা মেটানো, কোনো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ছিল না। কৃষক নিজের প্রয়োজনের তাগিদে ধান-পাট থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফলফসলের বীজ সংরক্ষণ করত। একটা সময় এসে জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে অধিক ফসল ফলানোর তাগিদ বাড়ল। বিজ্ঞানীরা অধিক ফলনশীল জাত তৈরি করলেন। তখনো কৃষক বীজ সংরক্ষণ করতে পারত। ফলানো ফসলের একটা অংশ বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করত। সমস্যা দেখা দিল যখন আরও অধিক উচ্চফলনশীল বীজের চাহিদা তৈরি হলো, বাজারে এলো হাইব্রিড, সুপার হাইব্রিড জাতের বীজ। সে বীজ থেকে একবারই ফসল ফলানো যায়। কৃষক আর সে ফসল থেকে বীজ সংরক্ষণ করতে পারল না। বীজ ক্রমেই চলে গেল বহুজাতিক কোম্পানির হাতে, সঙ্গে সঙ্গে বীজের জন্য কৃষকও হয়ে পড়ল বাজারনির্ভর। দেখা গেল বাজারের অধিকাংশ বীজ থেকে ভালো চারা মিলছে না। ‘কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট’ অনুষ্ঠান করতে গিয়ে দেখেছি, বিভিন্ন জেলার কৃষকের অভিযোগ ছিল, বীজ থেকে চারা ঠিকঠাক গজায় না। বিভিন্ন কোম্পানির দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তোলার পাশাপাশি অভিযোগ ছিল বিএডিসির বীজের দিকেও, সময়মতো বীজ থেকে চারা গজায় না। বীজ থেকে চারা না গজালে কৃষকের ক্ষতি দুই দিক থেকে। এক. বীজের পয়সা নষ্ট। দুই. চারা সময়মতো না গজানোয় মৌসুম নষ্ট। ফসল না ফলানোর কারণে একদিকে তাকে সর্বস্বান্ত হতে হচ্ছে, অন্যদিকে একটা মৌসুম জমি নিষ্ফলা রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। সব মিলিয়ে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে কৃষককে। এ নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বীজ প্রত্যয়ন অধিদফতরে গিয়েছিলাম। রকমারি রঙিন লোভনীয় মোড়কে যে বীজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে সে বীজ থেকে চারা না গজালে সে দায় কে নেবে? বীজনীতিতে কী বলা আছে? এগুলো খুঁজতে গিয়ে দেখলাম, বীজের প্যাকেটের গায়ে উচ্চ ফলনের স্বপ্নের কথা লেখা থাকলেও বীজ থেকে চারা না গজানোর দায় নেওয়ার কোনো কথাই লেখা নেই। সে দায় সবাই এড়িয়ে যাচ্ছে। আমাদের কৃষকের এ সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়ে ভেবেছি অনেক। দেশ-বিদেশে ঘুরে এ প্রশ্নের সমাধান খুঁজেছি। ২০১৫ সালে নেদারল্যান্ডসের গ্রিনকিউতে গিয়ে অবাক হয়েছি। গ্রিনকিউ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী সমাধান দেয়। যাকে বলে কমপ্লিট সলিউশন। চারা থেকে শুরু করে গাছের খাদ্য ও অন্যান্য অনুষঙ্গ সব রকমের সেবাই তারা কৃষককে দেয়। এসব দেখে আমার মনে হলো এমন প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশেও যদি থাকত! কত কত কৃষক যে আমাকে ফোন দেয় কত রকম সমস্যা নিয়ে! কেউ জানতে চায় শিমের গাছ হলুদ হয়ে যাচ্ছে, কী করব? কেউ জিজ্ঞেস করে, বিদেশ থেকে আনা গাজর কেমন সোজা ও লম্বা, আমরা যেগুলো চাষ করি সেগুলো কেন কুঁকড়েমুকড়ে যায়? আমি সব উত্তর জানি না। কিন্তু উপলব্ধ হয়, কৃষকের অনেক প্রশ্ন, অনেক জিজ্ঞাসা। সেগুলোর উত্তর সে জানতে পারলে আমাদের কৃষি অনেক দূর এগিয়ে যেত। যা হোক, বলছিলাম বীজ নিয়ে কৃষকের দুর্গতির কথা। ২০১৭ সালে শাহীন নামে রংপুরের এক তরুণের সঙ্গে কথা হলো। সে তার বন্ধুদের সঙ্গে মিলে চারা তৈরি করছে। চারা তো কৃষকও তৈরি করে, তবে তাদের ক্ষেত্রটিকে বলা চলে চারা তৈরির কারখানা। সে উদ্যোগটি নিয়ে প্রচারিত প্রতিবেদনের কথা আপনাদের মনে থাকতে পারে। শাহীনের উদ্যোগটি ছিল একেবারেই ব্যতিক্রম ও সময়োপযোগী। কৃষক সরাসরি শাহীনের ওখান থেকে চারা কিনে নেয়। এতে কৃষকের বীজসংক্রান্ত হয়রানি যেমন পোহাতে হয় না, তেমনি চারা তৈরির ২০-২৫টি দিন বেঁচে যায়। কৃষক দেখেশুনে টেকসই চারা কেনার সুযোগ পেল। আগে বাজারের কেনা বীজ থেকে চারা গজাবে কি গজাবে না সে সংশয়ও রইল না। সরাসরি চারা হাতে পাওয়ায় কৃষক মৌসুমের শুরুতেই ফসল বাজারে তুলতে পারে, আর দামটাও ভালো পায়। শাহীনের সে উদ্যোগ টেলিভিশনে প্রচারের পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চারা তৈরির এমন উদ্যোগের খবর পেয়েছি।

গত বছর দেরিতে হলেও শীতটা বেশ টের পাওয়া যাচ্ছিল। মনে আছে ঢাকার মানুষ বহুদিন পর লেপের শীত অনুভব করেছিল দিন চারেকের জন্য। এ বছরও শীত আসতে বেশ সময় নিচ্ছে। তবে মফস্বল শহরে ও গ্রামে বেশ শীত পড়ে গেছে। যশোরেও বেশ ভালোই ঠান্ডা পড়েছে। শীত বা গ্রীষ্ম, আমি সাধারণত ভোরেই কাজে বের হই। সেদিনও ভোরে শুরু করে নানা কাজ করে ফিরছিলাম বিকালে। যশোর শহরে পৌঁছানোর আগে আগে চূড়ামনকাঠিতে এসে একটি বড় শেড নেটের আয়োজন দেখে চোখ আটকে গিয়েছিল। গাড়ি থেকে নেমে এগিয়ে গেলাম ভিতরে। যা ভেবেছিলাম তাই। কৃষি আয়োজন। উপস্থিত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানলাম, শেড নেটে বিভিন্ন সবজি ফসলের চারা উৎপাদন চলছে।

দিনের কাজ প্রায় শেষ। এমনিতেই শীতের দিন ছিল ছোট। কর্মীরা বেশির ভাগই কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে গেছেন। কাজকর্ম তদারকিতে নিয়োজিত এক তরুণ কর্মকর্তা নিয়ে গেলেন শেডের ভিতরে। দেখেই মনে হলো সেই রংপুরের শাহীনের মতো আর এক চারা তৈরির কারখানা। নাম ম্যাক্সিম এগ্রো। উৎপাদন ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল তাদের চারা উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের নানা বিষয়। ব্রোকলি, পেঁপে, রেড ক্যাবেজ, ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদির চারা হচ্ছে। চারা উৎপাদনের প্রক্রিয়াটি মূলত মাটিবিহীন কৃষি। মূল মাধ্যম কোকোপিট। ঐতিহ্যগতভাবেই যশোরের চূড়ামনকাঠি, হায়বাদপুর, বারোবাজার এলাকায় প্রচুর সবজি উৎপাদন হয়। বারোবাজারে সবজি চারার অনেক পুরনো হাট। সনাতন ও প্রচলিত পদ্ধতিতে সেখানকার কৃষক সবজি চারা উৎপাদন করে। দেশের সবজিপ্রধান এলাকা হিসেবে বিপুল পরিমাণ সবজি চারার চাহিদা রয়েছে এ এলাকায়। উচ্চমূল্যের ফলফসলের ফলন নিশ্চিত করতে সুস্থ, মানসম্পন্ন ও বেশি ফলনশীল সবজির চারাই এখন কৃষকের বড় চাওয়া। আর এ বিষয়গুলো উপলব্ধি করেন ব্যবসায়ী শরিফুল আমীন। এ এলাকায় সবজি চারার বিপুল চাহিদার কথা চিন্তা করেই কৃষির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ উপকরণের বাণিজ্যিক উদ্যোগ নেন তিনি। কথা বলি শরিফুল আমীনের সঙ্গেও। জানান, নিরাপদ খাদ্যের কথা ভেবেই তিনি কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। এরপর দেখেন চাষের ক্ষেত্রে চারা একটি বড় প্রশ্ন, মূল সংকট। সে সংকট থেকে নিজে উত্তরণের পাশাপাশি কৃষককে সহযোগিতার উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু করেন চারা উৎপাদনের কাজ। শরিফুল আমীন ব্যবসায়ী মানুষ। তিনি ঠিক বুঝে গেছেন কৃষিতে এই সময়ের ব্যবসাটা কোন জায়গায়। কৃষকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে উৎপাদন শুরু করেন বিভিন্ন সবজির চারা। রেড লেডি পেঁপের চারাই তৈরি করেন ১ লাখ। প্রতি চারার মূল্য ২৫ টাকা। ম্যাক্সিম শাহী নামে পেঁপের চারা করা হয়েছে ৪ লাখ। প্রতিটি চারা বিক্রি করা হচ্ছে ৬০ টাকায়। চারা উৎপাদনে তার কারবারের বাণিজ্যিক হিসাবটিও বিশাল। আগেই বলেছি, রংপুরের শাহীন চারা উৎপাদন করেন অনেকটা নার্সারির মতো। তার কাছ থেকে কৃষক চারা কিনে নেন। আর ম্যাক্সিম এগ্রোয় কৃষকের চাহিদা নিয়ে চারা উৎপাদন করা হয়। যেমন রেড ক্যাবেজ তৈরির জন্য দুই কৃষক অর্ডার করেছেন ১২ হাজার চারার। প্রতি চারার মূল্য ৩ টাকা।

কৃষি এখন বহুমাত্রিক বাণিজ্য। এর বিভিন্ন অংশে রয়েছে মূল্য সংযোজন ও সম্ভাবনাময় বাণিজ্য সৃষ্টির সুযোগ। সময়ের প্রয়োজনেই উন্নত বিশ্বের কৃষি সংস্কৃতি এ বাণিজ্যিক তৎপরতা অনুসরণ করছেন আমাদের উদ্যোক্তারা। এটি অত্যন্ত ইতিবাচক দিক। এর মধ্য দিয়ে শুধু যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ হচ্ছে তাই নয়, কৃষির আধুনিকতায় প্রযুক্তি ও কৌশলের সঠিক অনুসরণ হচ্ছে। যেমন গত সপ্তাহে লিখেছিলাম হবিগঞ্জের মাধবপুরের তিতবেগুনের সঙ্গে টমেটোর গ্রাফটিং করে বারোমাস চাষ করার বিষয়টি নিয়ে। সেখানে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যশোরের চূড়ামনকাঠির এ প্রতিষ্ঠানও তিতবেগুনের সঙ্গে টমেটোর গ্রাফটিং চারা উৎপাদন করছে। সেখানে দেখলাম বিশেষ এক জাতের টমেটো চারার ব্যাপক চাহিদা। রবিউল জানালেন, ওগুলো বাহুবলী জাতের টমেটো। কয়েক লাখ চারা তারা উৎপাদন করেছেন।

উদ্যোক্তা শরিফুল আমীন জানান, যশোর অঞ্চলের কৃষক নিজে চারা তৈরির চেয়ে তৈরি চারা কিনতেই বেশি আগ্রহী। কারণ চারা তৈরি করতে যে ২০-৩০ দিন লাগে সে সময়টা বাঁচাতে পারলে কিছুটা আগাম ফসল পাওয়া যায়। এতে ফলফসল বা সবজির দামটাও ভালো পাওয়া যায়।

তারা কৃষকের চাহিদার ভিত্তিতেই চারা উৎপাদন করেন। তাদের নিজেদের কোনো জাত বা বীজ নেই। বাজারের প্রচলিত কোম্পানির পরীক্ষিত ও বেশি চলে এমন বীজ থেকে সুস্থ চারা তৈরি করেন। পাশের গ্রিনহাউসেও চলছিল চারা উৎপাদনের কাজ। সেলস এক্সিকিউটিভ মো. মনির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দেখলাম চারা তৈরির প্রক্রিয়াগুলো। মো. মনির হোসেনের কাছে জানতে চাইলাম তাদের মার্কেটিং সম্পর্কে। মনির জানালেন, তারা শুধু চারাই বিক্রি করেন না, বিক্রি করেন মালিচিং পেপার, সিডলিং টিডি, ককপিটও বিক্রি করেন। কৃষি অধিদফতরের আয়োজিত মেলা বা সভা-সেমিনারে কৃষকের সামনে এগুলো তুলে ধরেন। এভাবেই তারা অল্প অল্প করে কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে গেছেন। মনিরের কাছে প্রশ্ন ছিল, একটা রেড লেডি গাছের চারা ২৫ টাকা, দাম এত বেশি কেন? তিনি জানালেন, অন্য সবজি এমনকি অন্য জাতের পেঁপের চারার দাম কম। কিন্তু রেড লেডির বীজের দাম বেশি হওয়ায় চারার দাম বেশি পড়ে। বিজনেস কো অর্ডিনেটর মো. আমিরুল ইসলাম খান বলেন, ছাদকৃষির ব্যাপক প্রচারে ছাদকৃষির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে মানুষ। একটা বড় অংশ চারা কিনে নিয়ে যায় ছাদকৃষক। আমিরুল ব্যাখ্যা করলেন একটা চারা তৈরির ক্ষেত্রে তাদের খরচের পরিমাণ। চারার এমন কারখানা গড়ে ওঠার সুফল হিসেবে নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা গড়ে উঠছে। উন্নত চারার জোগান নিশ্চিত হওয়ায় সহজ হয়ে এসেছে কৃষি উদ্যোগ। উপস্থিত কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হলো। তারা জানালেন, তৈরি চারা তাদের কৃষি উদ্যোগকে সহজ করে দিয়েছে।

চারা উৎপাদন ও বাণিজ্য বহু প্রাচীন একটি কৃষি উদ্যোগ। কিন্তু সবখানে এ বাণিজ্য ছিল না। যেসব অঞ্চলে স্বাভাবিক কৃষি সম্ভব নয় সেখানে চারা উৎপাদন হতো। বরিশাল অঞ্চলের নদীকেন্দ্রিক জীবন সংস্কৃতিতে ভাসমান বেডে চারা তৈরি বিশ্বের কৃষি ঐতিহ্যের একটি অংশ। পিরোজপুরের বৈঠাকাটা ভাসমান বাজারে চারা বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল ওই অঞ্চলের বহু তৃণমূল মানুষ। বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদী পার হলেই বিশালকান্দি, উমরের পুর, মরিচবুনিয়া এগুলো বহু আগে থেকেই চারা তৈরির জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। তারা সাধারণত লাউ-কুমড়া চারা তৈরি করত। তারা জলজ উদ্ভিদ, ধুন্দলিবন ইত্যাদি মুড়িয়ে তাতে ফ্যানা দিয়ে বীজ বুনে চারা তৈরি করত। সে চারা ছড়িয়ে পড়ত সারা দেশে। আজ আধুনিক সময়ে জলজ উদ্ভিদ বা ধুন্দলিবনের জায়গায় ব্যবহার হচ্ছে প্লাস্টিকের কাপ, আর ফ্যানার জায়গায় কোকোপিট।

দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখন পলিনেট হাউসে মাটিবিহীন চারা তৈরির নতুন নতুন উদ্যোগের খবর পাচ্ছি। চারা তৈরির এমন উদ্যোগ যেমন হতে পারে নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, অন্যদিকে কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী চারা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পারলে উৎপাদনব্যবস্থাও হবে গতিশীল। তবে যখন বীজ কৃষকের হাত থেকে চলে যাচ্ছিল কোম্পানির হাতে তখন তা ঠেকাতে অনেকেই সরব ছিলেন। কিন্তু বাজার অর্থনীতিতে চাহিদাসূত্রের কাছে কিছুই টেকেনি। এখন চারা তৈরির এ কারখানা যাকে বলছি, তারও ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। এটিও হয়ে উঠছে বাজার অর্থনীতির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। এ ক্ষেত্রে আমাদের কৃষকের দিকটিও বিবেচনায় রাখতে হবে, কৃষকের হাত থেকে যেন কোনোভাবেই ছিটকে না যায় সোনালি ভবিষ্যতের বীজ, টেকসই অর্থনীতির মূল্যবান চারা।

লেখক : মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।  

[email protected]

 

সর্বশেষ খবর