শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পাচারকারীর বিরুদ্ধে রেড নোটিস

অভিযুক্তদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে

ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন পথ ব্যবহার করে বাংলাদেশের লোকজনের বিদেশে পাড়ি দেওয়া থামছে না। ভাগ্য বদলাতে অনেকে দেশি-বিদেশি মানব পাচারকারীদের প্রলোভনের শিকার হচ্ছে। এর ফলে সাম্প্রতিক সময়ে পাচারের শিকার ব্যক্তির মধ্যে বাংলাদেশিদের নাম বারবার আসছে। পাঁচ বাংলাদেশি মানব পাচারকারীর বিরুদ্ধে এবারই প্রথম রেড নোটিস জারি করল ইন্টারপোল। এর মধ্যে তিনজন আগে থেকে লিবিয়ায় অবস্থান করছেন। আর বাকি দুজনের অবস্থান সম্পর্কে এখনো কিছু জানতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ২৫ নভেম্বর এদের বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারি করা হয়। এর আগে ৬ নভেম্বর মিন্টু মিয়া নামে আরও এক মানব পাচারকারীর নামে রেড নোটিস জারি করা হয়। এ নিয়ে মোট ছয় বাংলাদেশি মানব পাচারকারীর বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারি হলো। এদের নামে রাজধানীর পল্টন ও বনানী থানায় মানব পাচারের অভিযোগে ২ জুন মামলা হয়েছে। রেড নোটিসের পর ওই ব্যক্তিরা যে কোনো দেশের স্থল, নৌ ও আকাশ পথের বন্দরে গেলেই গ্রেফতার হবেন। এরপর সে দেশের আইনকানুন পর্যালোচনা করে দেশে তাদের ফেরত আনা সম্ভব। এ পর্যন্ত ১৫ বাংলাদেশিকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফেরত আনা গেছে। এখন পর্যন্ত ৮১ জন মানব পাচারকারীকে চিহ্নিত করেছে সিআইডি। এর মধ্যে ৩১ জন গ্রেফতার হয়েছেন। আর বিদেশে অবস্থান করছেন ২৭ জন। ঢাকা থেকে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা প্রথমে ভিজিট ভিসায় বাংলাদেশিদের শ্রীলঙ্কায় পাঠান। সেখান থেকে দুবাই, মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া কিংবা লিবিয়ার বেনগাজিতে নিয়ে যান। এরপর সুযোগ বুঝে তাদের ইউরোপ পাঠান। এর আগে একটি ঘরে জিম্মি করে রাখেন। মানব পাচারকারী চক্রের মূল অংশটি দেশের বাইরে। স্থানীয় পর্যায়ে কিছু দালাল কাজ করেন। তা ছাড়া অনেক ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীরা তথ্য দেন না। অভিবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত অভিযুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সি, পাচারকারী, দালালদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

সর্বশেষ খবর