রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বিদেশে অর্থ পাচার

সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক

বিদেশে অর্থ পাচার একটি মহাদুর্নীতি এবং এ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতের সংখ্যা খুব একটা কম নয়। দেশ ও জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাকারী এ জঘন্য অপরাধীদের উচ্চ আদালত ইতিমধ্যে জাতীয় বেইমান বলে অভিহিত করেছে। আশার কথা, বিদেশে অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং পাচার রোধের সঙ্গে জড়িত সব সংস্থাকে সক্রিয় করা হচ্ছে। বিদেশে কোথায় কোথায় বাংলাদেশ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ পাচার হয়েছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এ প্রক্রিয়ায় সিঙ্গাপুরে এক বাংলাদেশির নামে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যাংক হিসাবের সন্ধান পাওয়া গেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। ব্যাংক হিসাবের এ বিপুল পরিমাণ অর্থের কোনো দাবিদারও নেই। বাংলাদেশ ওই অর্থের মালিকানা দাবি করেছে এবং তা ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে এমন তথ্য জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী। আলোচ্য ব্যক্তির নাম-পরিচয় আপাতত গোপন রাখা হয়েছে। কারণ টিটি চুক্তি অনুযায়ী নাম এখনই প্রকাশ করা যাবে না। তবে গুঞ্জন রয়েছে, ‘কোনো একটি মামলায়’ ওই ব্যাংক হিসাবধারীর মৃত্যুদ- হয়েছে। তার স্ত্রী-সন্তান থাকলেও তারাও এ টাকার মালিকানা দাবি করছেন না নিজেরা ধরা খাওয়ার ভয়ে। থাইল্যান্ড, ইংল্যান্ড, হংকং, কানাডা, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেসব অর্থ পাচার হয়েছে তা ফিরিয়ে আনার জন্য মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্সের আওতায় দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কাজ করছে। তবে সবকিছুর আগে প্রমাণ করতে হবে পাচারকৃত অর্থ বাংলাদেশের। এ ব্যাপারে যথাযথ কাগজপত্রও দাখিল করতে হবে। স্মর্তব্য, বিদেশে পাচারকৃত বেশ কয়েকজনের অর্থের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে এবং সে অর্থ ফেরত আসছে। অর্থ পাচারকারীদের পরিচয় যাই হোক তারা দেশের শত্রু এবং তাদের পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা শুধু নয়, সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা দরকার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর