শিরোনাম
রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

রূপবান মুড়া

ময়নামতিতে অন্যূন ১২টি তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হয়েছে যা দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার ইতিহাস, সংস্কৃতি, সমাজ ও অর্থনীতির ওপর আলোকপাত করে। উৎসর্গীকৃত ছোট ছোট বহু উৎকীর্ণ লিপির মধ্যে খুব সামান্য কয়েকটিতে শালবন বিহার ও এর নির্মাতা রাজার নাম খচিত। সবই বেশ গুরুত্ববহ। সংগৃহীত মুদ্রার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গুপ্ত ও গুপ্ত-পরবর্তী মুদ্রার অনুকরণে নির্মিত সামান্য কিছু স্বর্ণমুদ্রা, শশাঙ্কের একটি দুর্লভ রৌপ্যমুদ্রা, খড়্গ শাসক বলভট্টের প্রায় এক ডজন স্বর্ণমুদ্রা, গুটিকয় আরাকানি ও অসংখ্য হরিকেল ও ‘আকর’ বংশের মুদ্রা এবং আব্বাসীয় খলিফাদের একটি স্বর্ণ ও কয়েকটি রৌপ্য মুদ্রা।

মৃৎপাত্র ছাড়া প্রস্তর, ব্রোঞ্জ, স্টাকো ও পোড়ামাটির ভাস্কর্যসমূহ হলো প্রাপ্ত প্রাচীন নিদর্শনাদির মধ্যে একক সর্ববৃহৎ সংগ্রহ। এখানে প্রস্তর ভাস্কর্য বিরল। তবে প্রাপ্ত কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত স্টাকো ভাস্কর্যটি একটি আকর্ষণীয় নমুনা। ব্রোঞ্জ ভাস্কর্যগুলোয় প্রাথমিক পর্যায়ে ধর্মীয় অনুভূতি ও মূর্তিতত্ত্বে বিহ্বলতা প্রকাশ পেলেও ধীরে ধীরে জনপ্রিয় মহাযান মতবাদের পরিবর্তে তান্ত্রিক মতবাদ এবং সবশেষে বহু-ঈশ্বরবাদের প্রকাশ পরিদৃষ্ট হয়। এ ক্ষেত্রে বৌদ্ধধমের্র সঙ্গে হিন্দু ও আদিবাসীদের বিশ্বাসসমূহ অবিচ্ছেদ্যভাবে মিশে গেছে। পোড়ামাটির ফলকই এখানে সর্বাধিক এবং এগুলোই সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও স্থানীয় লোকশিল্পের পরিচয়বাহী। এগুলো স্থূল অথচ বলিষ্ঠ ভঙ্গি ও স্থানীয় বৈশিষ্ট্যের জন্য আকর্ষণীয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর