মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বেহাল নাগরিক সুবিধা

সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে

দেশের শহরাঞ্চলে বাস করা জনগোষ্ঠীর ৩৬ ভাগই ঢাকায় বাস করে। জনসংখ্যা স্ফীতির বর্তমান প্রবণতা চলতে থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ ঢাকার জনসংখ্যা হবে সাড়ে ৩ কোটির বেশি। যথাযথ পরিকল্পনা ছাড়াই মেগা সিটি গড়ে ওঠার ফল হিসেবে ঢাকা পরিণত হয়েছে বসবাসের ক্ষেত্রে নিম্নমানের শহরে। ঢাকার সব ব্যবস্থাপনা এবং বিভিন্ন সামাজিক সেবা আসলে ভালো নয়। মানুষের চাপ, যানজট, নানা ধরনের নাগরিক সুবিধার অভাব, বাসস্থানের সংকট এবং ব্যাপক দূষণ ঢাকার নাগরিক জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। মেগা সিটি ঢাকায় প্রতিদিন নানা কাজে রাজপথে চলাচল করছে বাসিন্দা ও বহিরাগত মিলে ৫০ লাখের বেশি মানুষ। এ বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীকে প্রতিনিয়ত হয়রানি হতে হচ্ছে গণশৌচাগারের খোঁজে। নগরীতে চলাচলরত গড়ে ৭৬ হাজার মানুষের জন্য রয়েছে মাত্র ১টি করে গণশৌচাগার। ৫ কিলোমিটারের মধ্যেও মেলে না তার ১টি। বাধ্য হয়ে রাস্তার আশপাশেই প্রাকৃতিক কর্ম সারছে লোকজন। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রাকৃতিক চাপ দমিয়ে রাখতে গিয়ে কিডনিসহ মূত্রনালির নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ। গণশৌচাগারের চাহিদা মেটাতে বর্তমানে দুই সিটির ৩০৫ বর্গকিলোমিটার এলাকায় চালু আছে ৬৬টি গণশৌচাগার। কাগজে-কলমে এ সংখ্যা কিছু বেশি হলেও সেগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী। একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পে ডিএনসিসি এলাকায় ৭৩টি গণশৌচাগার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। উত্তর সিটির ১৯৬ দশমিক ২২ বর্গকিলোমিটার এলাকায় গণশৌচাগার চালু আছে এখন মাত্র ২৫টি। অর্থাৎ, প্রায় ৮ বর্গকিলোমিটারে ১টি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪১টি গণশৌচাগার চালু আছে। এর মধ্যে ৩২টি নতুন ও ৯টি সংস্কার করা হয়েছে। ঢাকা শহরের আগামী দিনের চেহারা কেমন হবে, সে কথা ভেবে এখনই সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর