বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার ভ্যাকসিন

সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখা জরুরি

সরকার বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের ৩ কোটি ডোজ টিকা বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। মহামারী মোকাবিলায় যারা সামনে থেকে কাজ করছে তাদের টিকাদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সোমবার এ বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতির কথা মন্ত্রিসভাকে অভিহিত করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানানো হয়, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ সংগ্রহের প্রস্তাবে গত ১৪ অক্টোবর অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে সরকার চুক্তিও করেছে। ভ্যাকসিন কেনার জন্য ১৬ নভেম্বর অর্থ বিভাগ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে ৭৩৫ কোটি

৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিতরণের ব্যাপারে একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে। প্রথম কারা পাবে, দ্বিতীয় ধাপে কারা পাবে সে অনুযায়ী তারা একটি প্রোগ্রাম ডেভেলপ করছে। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার, পুলিশ, প্রশাসনের লোক যারা মাঠে চাকরি করছেন, তারপর বয়স্ক লোক, বাচ্চা- এ রকম একটি প্রটোকল নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের মানুষকে ৩ কোটি ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেওয়া হবে। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ইতিমধ্যে দুনিয়াজুড়ে আঘাত হেনেছে। বাংলাদেশও তা থেকে মুক্ত নয়। দেশে প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত সরকারি হিসাবে গত সোমবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৪৪-এ। আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯৬২-এ দাঁড়িয়েছে। ঘাতক ভাইরাসে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়ায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এক কথায় অপূরণীয়। মৃত্যুহার ও অর্থনীতির ক্ষয়ক্ষতি রোধে বাংলাদেশ দৃষ্টিকাড়া সাফল্য

অর্জন করলেও যে ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে তা পূরণ হতে কয়েক বছর লেগে যাবে। করোনা মোকাবিলা অস্তিত্বের জন্য এক চ্যালেঞ্জ,

যে কারণে টিকা বিতরণে সব ক্ষেত্রে যাতে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর