বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
বিচিত্রতা

সমুদ্রতলবাসী মাছ

সমুদ্রের তলদেশে বসবাসকারী মাছ সচরাচর ধীরগতিসম্পন্ন। এরা মাংসাশী অথবা আবর্জনাভুক। এদের কম বয়সীরা জীবনের প্রথম দিকে পানির উপরিভাগে কাটায়। সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন প্রধানত এ তলবাসী মাছের ওপর নির্ভরশীল। অবশ্য তলবাসী হলেও এ দলের মাত্র গুটিকয় প্রজাতি সমুদ্রতলের অতি গভীরে বাস করে এবং ওই মাছগুলোর বিশেষ বাণিজ্যিক গুরুত্বও নেই। সামুদ্রিক মাছ আহরণের আওতাধীন তলবাসী মাছগুলো সাধারণত সমুদ্র/ মহাসমুদ্রের অগভীর তলদেশে থাকে, যেখান থেকে ট্রলারের জালে তাদের ধরা সম্ভব।

বঙ্গোপসাগরের তলবাসী মাছসম্পদ বাংলাদেশের মোট সামুদ্রিক মাছ শিকারে উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে। বস্তুত বঙ্গোপসাগরের মজুদ সামুদ্রিক মাছের হিসাব তলবাসী মাছের ভিত্তিতেই তৈরি। এ পর্যায়ের প্রধান মাছের মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক ক্যাটফিশ, হাঙর ইত্যাদি।

এ ছাড়া সমুদ্রের তলদেশে কয়েক প্রজাতির চিংড়িও দেখা যায়। হাঙরের বেশ কয়েকটি প্রজাতি সমুদ্রতলের কাছাকাছি থাকে এবং এদেরও সমুদ্রের তলবাসী মাছের দলে ফেলা যায়। বাংলাদেশে অধিকাংশ সমুদ্রতলবাসী মাছ সাধারণত তলার ফাঁসজাল, তিন স্তরের ট্র্যামেল জাল, তলদেশে স্থায়ীভাবে পাতা ব্যাগজাল, লম্বা সুতার বড়শি ইত্যাদির সাহায্যে ধরা হয়। সমুদ্রতলের মজুদ মাছের মধ্যে চিংড়ির (যদিও মাছ নয়) প্রজাতিগুলোর চাহিদা খুবই বেশি। বাংলাদেশে রপ্তানিযোগ্য চিংড়ির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বঙ্গোপসাগরের তলদেশের মজুদ থেকেই সংগ্রহ করা হয়। পানির ওপরের স্তরের মাছের তুলনায় তলদেশের মাছে অপেক্ষাকৃত কম চর্বি থাকায় সামুদ্রিক খাদ্য তালিকায় সমুদ্রতলবাসী মাছের স্থান বেশ উঁচুতে। স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত অধিকাংশ সমুদ্রতলবাসী মাছ স্থানীয় লোকেরাই খায় বা অন্য মাছের খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর