শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভাসানচরে রোহিঙ্গা

নিরাপত্তার স্বার্থেই স্থানান্তর প্রশংসনীয়

সরকারের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে রোহিঙ্গাদের একটি দল ভাসানচরে গেছে। করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল হাতে পাওয়ার পর গতকাল ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে নৌবাহিনীর আটটি জাহাজে করে ভাসানচরে নেওয়া হয়। প্রথম পর্যায়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গার দলটি থাকবে ভাসানচরের অত্যাধুনিক আবাসন প্রকল্পে। পর্যায়ক্রমে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। সম্পূর্ণ নিজেদের ইচ্ছায় গিয়ে থাকতে রাজি রোহিঙ্গাদের এ দলটির মাধ্যমে আশ্রয়ণ প্রকল্প হিসেবে চালু হতে যাচ্ছে ভাসনচর। ভাসানচরে প্রথম ধাপে যাওয়া রোহিঙ্গাদের রাখা হবে ৫ থেকে ১১ নম্বর ক্লাস্টারে। তিন মাসের মজুদ সক্ষমতার খাদ্য গুদামে প্রস্তুত ৬৬ টন খাদ্যপণ্য। তবে প্রথম দিকে রোহিঙ্গাদের রান্না করা খাবার সরবরাহ করবে বেসরকারি সংস্থাগুলো। ইতিমধ্যে ২২টি এনজিওর প্রতিনিধিরা ভাসানচরে কাজ শুরু করেছেন। বুধবার রাতে ভাসানচরে স্বেচ্ছায় যেতে আগ্রহ প্রকাশকারী রোহিঙ্গাদের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। প্রথম দফায় ৪ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। জাতিসংঘ বলছে, বাংলাদেশ সরকারের রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে প্রারম্ভিক স্থানান্তরের সম্ভাবনাবিষয়ক কিছু প্রতিবেদন সম্পর্কে তারা অবগত রয়েছে। ওই স্থানান্তরের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমে অথবা শরণার্থীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করা হয়নি। স্থানান্তরের সার্বিক কর্মকান্ড সম্পর্কে জাতিসংঘের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে ১ লাখ রোহিঙ্গার জন্য ভাসানচরে অবকাঠামোসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে। প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গার কারণে কক্সবাজারের জনজীবন ও পরিবেশ বিরূপ হয়ে উঠেছিল। পরিবেশ ও নিরাপত্তার স্বার্থেই তাদের সাময়িক স্থানান্তর প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর