রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর তিন প্রস্তাব

কভিড-১৯ মোকাবিলার পথ দেখাবে

করোনাভাইরাসের ছোবল সারা দুনিয়াকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। উন্নত-স্বল্পোন্নত কোনো দেশের মানুষই এ বিপদ থেকে নিরাপদ থাকতে পারছে না। মানব জাতির জন্য অস্তিত্বের সংকট সৃষ্টি করেছে করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ নামের মহামারী। এটি এমন এক বিপদ যার বিরুদ্ধে পুরো মানব জাতিকে লড়তে হবে একাট্টা হয়ে। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সব দেশ ও জাতির জন্য সহজপ্রাপ্য না হলে সবাইকে খেসারত দিতে হবে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানব জাতির শক্ত লড়াইয়ে ইতিমধ্যে বড় ধরনের সাফল্য অর্জিত হয়েছে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের মাধ্যমে। তবে এ ভ্যাকসিন কবে নাগাদ বাংলাদেশের মতো দেশগুলোয় আসবে এবং  তা সব মানুষের কাছে পৌঁছবে কিনা এ এক বড় মাপের প্রশ্ন। এ সংকটের গ্রন্থিমোচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ৩১তম বিশেষ অধিবেশনের প্রাক-রেকর্ডকৃত ভাষণে মানসম্পন্ন ভ্যাকসিনের সর্বজনীন ও ন্যায়সংগত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। ভ্যাকসিনটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদনে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং মহামারী-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্থিক সহায়তাসহ তিনটি অগ্রাধিকারে গুরুত্ব প্রদান ও বৈশ্বিক সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন প্রথমত, যথাসময়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ও সাশ্রয়ী মূল্যে সবার জন্য মানসম্মত ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, কভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে গোটা বিশ্বের জন্য একটি বৈশ্বিক জনপণ্য হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। তৃতীয়ত, কভিড-১৯-এর পরিপ্রেক্ষিতে আর্থিক সহায়তাসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলোকে বিশেষভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। কভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবগুলো বিদ্যমান সংকট নিরসনে অবদান রাখবে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে কভিড ভ্যাকসিনের প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হলে তা কোটি কোটি মানুষের জীবন রক্ষায় অবদান রাখবে। বিশ্ববাসীর সুরক্ষায় যার বিকল্প নেই।

সর্বশেষ খবর