শিরোনাম
রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

চ্যালেঞ্জে দুই সিটি

সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় হতে হবে

পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে নগর সরকারের মাধ্যমে মেগা সিটি পরিচালিত হয়। এক ছাতার নিচে থাকায় সেবা সংস্থার সমন্বয়ে কোনো সমস্যা হয় না। সেখানে এক রাস্তা বারবার খোঁড়ার প্রয়োজন পড়ে না। বিভিন্ন সংস্থার প্রকল্প বিভিন্ন সময় পাস হয়। অর্থ বরাদ্দ হলে তারা তখনই কাজ শুরু করে। সমন্বয় করে প্রকল্প না নেওয়ায় এক রাস্তা বারবার খুঁড়তে হয়। ইউটিলিটি ডাক্ট কিংবা হাব নির্মাণ করে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। রাস্তা তৈরির সময় ইউটিলিটি ডাক্ট নির্মাণ করলে তারা ওই ডাক্টের মাধ্যমে যে কোনো সংযোগ স্থাপন করতে পারবে। এতে বারবার রাস্তা খোঁড়ার প্রয়োজন পড়বে না। সম্প্রতি রাজধানীর নর্দ্দা, মাদানী এভিনিউ, গুলশান-২ পর্যন্ত ৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। রাস্তা খুঁড়ে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের সংযোগ তার বসানো হচ্ছে। গত বছর এ রাস্তার আরেক পাশে খুঁড়ে পয়ঃনিষ্কাশন লাইন বসিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। এভাবে এক সড়কে বারবার খোঁড়াখুঁড়িতে বাড়ছে অর্থের অপচয়, দীর্ঘায়িত হচ্ছে জনভোগান্তি, কমছে রাস্তার মেয়াদ, বাড়ছে যানজট। বছরজুড়ে খোঁড়াখুঁড়িতে ধুলোর শহরে পরিণত হয়েছে ঢাকা। ৫৬ সেবা সংস্থার সমন্বয় না থাকায় বছরজুড়ে চলতে থাকে রাজধানীতে খোঁড়াখুঁড়ি। সড়ক খোঁড়াখুঁড়িসহ যে কোনো উন্নয়নকাজ শুরুর আগে জানাতে হবে- এমন একটি চিঠি ২৬টি সংস্থাকে দিয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। চিঠির উত্তর দিতে অনুরোধ জানিয়ে ২৫ দিন সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো সেবা সংস্থাই চিঠির জবাব দেয়নি। সেবা সংস্থার সমন্বয়হীনতায় এক রাস্তা বারবার খোঁড়াখুঁড়িতে অপচয় ও দুর্ভোগ বাড়ে। রাজধানীর সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় ছাড়া জনভোগান্তি হ্রাস ও পরিকল্পিত নগরী গড়া সম্ভব নয়। জলাশয় ভরাট করে আবাসিক ভবনের অনুমতি প্রদান করায় দুর্যোগপ্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, খাল বেদখল হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে, সুপেয় পানি, সুষ্ঠু পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর