মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্য চুক্তি

এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে

ভুটানই প্রথম যারা বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম একটি দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ৫০ বছর উদ্যাপন উপলক্ষে রবিবার বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। কভিড-১৯ মহামারী স্বাস্থ্য সংকট ছাড়িয়ে আর্থসামাজিক ব্যবস্থা ও জীবন-জীবিকার ওপর ক্রমবর্ধমান হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ অজানা শত্রুর প্রাদুর্ভাব আমাদের নতুন বাস্তবতা শিখিয়েছে। ভুটানের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে ভূমিকা রাখবে। আগামী ৫০ বছর আমাদের অঞ্চলের বাসিন্দাদের টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সাক্ষী হবে। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভুটানের তৃতীয় রাজা এবং সেখানকার জনগণের অবিচ্ছিন্ন সমর্থনের পাশাপাশি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতিদান আজও মানুষকে আবেগতাড়িত করে। বাণিজ্য, পর্যটন, জলবিদ্যুৎ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, স্বাস্থ্য, জীববৈচিত্র্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, কৃষি, আইসিটি, শিক্ষা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনাসহ আজ আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো অনেক বিস্তৃত। এ বাণিজ্য চুক্তির অধীনে দুই দেশের বিভিন্ন পণ্য উভয় বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুযোগ পাবে। চুক্তিতে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে পণ্যের অতিরিক্ত তালিকা অন্তর্ভুক্ত করারও বিধান রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে ভুটানে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা ৭৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়। একই সময় ভুটান থেকে আমদানি হয় ৪৯.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। সুতরাং ভুটানের সঙ্গে পিটিএ করে থেমে থাকলেই চলবে না। এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে। যেসব দেশে বেশি বাণিজ্য হয় সেসব দেশের সঙ্গে চুক্তি করা যেতে পারে। তাহলে ভবিষ্যতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার হবে।

সর্বশেষ খবর