মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বিনামূল্যে পাঠ্যবই

শিক্ষা বিস্তারে অবদান রাখছে

প্রতি বছরের মতো ২০২১ সালের প্রথম দিনই স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। করোনার দুর্যোগে প্রায় নয় মাস শিক্ষাঙ্গন বন্ধ। নতুন শ্রেণিতে ওঠার জন্য নেওয়া হয়নি কোনো পরীক্ষা। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য মিলছে অটো পাসের সুবিধা। করোনায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও হেলাফেলা ঘটেনি সময়মতো বই ছাপার কাজে। চলতি মাসের মধ্যেই টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে পৌঁছে যাবে বই। ইতিমধ্যে বই পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে ৭০ শতাংশ বই পৌঁছে গেছে উপজেলাগুলোয়। এ বছর ১৫১টি প্রিন্টিং প্রেসে ৩৫ কোটি বই ছাপা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৪ দশমিক ৪১ কোটি মাধ্যমিক আর ১০ দশমিক ৫৪ কোটি বই প্রাইমারি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ছাপানো হচ্ছে। প্রতি বছর ১ জানুয়ারি সারা দেশে উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে বই দেওয়া হলেও এ বছর করোনায় কোনো বই উৎসব হচ্ছে না। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ বিষয়টি ইতিমধ্যে নিশ্চিত করেছেন। স্মর্তব্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর জানুয়ারির ১ তারিখে বই উৎসব করে আসছে। ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ৩৩১ দশমিক ৩৮ কোটি বই বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি বছর বিনামূল্যের বই দরিদ্র অভিভাবকদের জন্য বড় ধরনের স্বস্তি নিয়ে আসছে। সরকারের এ সহায়তায় অভিভাবকদের আর্থিক কষ্টের বোঝা অনেকটাই লাঘব হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে উপবৃত্তি থেকে শুরু করে বিনামূল্যে বই দেওয়ার মতো কর্মসূচি পরিচালনা করছে সরকার। ২০১০ সালের আগে শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো বই পৌঁছানো সমস্যা হয়ে দাঁড়াত। টেক্সট্বুক বোর্ডের বইয়ের সঙ্গে নোটবই কিনতে শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের বাধ্য করা হতো। সরকার প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে বই পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সে অনিশ্চয়তার অবসান হয়েছে। যা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। আমরা আশা করব, করোনাকালেও শিক্ষার্থীরা যাতে পাঠের মধ্যে থাকে তা নিশ্চিত করতে অভিভাবকরা নজর দেবেন।

এ মুহূর্তে তা-ই করণীয় কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর