বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রকল্প বাস্তবায়ন

ব্যর্থ ও অযোগ্যদের বাদ দিতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বারবার প্রকল্প সংশোধন করে সময় ও টাকা বাড়ানোর প্রবণতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন প্রকল্প সংশোধন করে সময় ও টাকা বাড়ানোর ধারা বন্ধ করতে হবে। একনেকের সভায় কৃষিতথ্য সার্ভিস আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল কৃষিতথ্য এবং যোগাযোগ শক্তিশালীকরণ প্রকল্প সংশোধন করে মেয়াদ ও প্রকল্প ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তা খুবই প্রাসঙ্গিক ও তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের জাতীয় বাজেটের একটা ছোট অংশ ব্যয় হয় উন্নয়ন খাতে। বলা যায়, উন্নয়ন খাতের প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়নের ওপর করদাতা তথা দেশের আমজনতার প্রত্যক্ষ স্বার্থ জড়িত। অথচ প্রতি বছর উন্নয়ন বাজেটের অধীনে গৃহীত প্রকল্পগুলোর এক বড় অংশ সময়মতো বাস্তবায়ন হয় না। প্রায় প্রতিটি প্রকল্পের মানও প্রশ্নবিদ্ধ। এমনিতেই বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয় তা সম্ভাব্য প্রকৃত ব্যয়ের চেয়ে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি বলে মনে করা হয়। কিন্তু সে প্রকল্পও সিংহভাগ ক্ষেত্রে সময়মতো বাস্তবায়ন না হওয়া ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। পরে প্রকল্প সংশোধন করে সময় ও অর্থ বাড়ানো হয়ে দাঁড়িয়েছে অপরিহার্য নিয়ম। এর ফলে জনগণের ট্যাক্সের টাকার অপচয় ঘটছে। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত বাড়তি টাকার একাংশ প্রকল্প তত্ত্বাবধানকারীদের কারও কারওর পকেটে ঢুকছে এটি একটি ওপেন সিক্রেট; যা কোনোভাবেই কাম্য হওয়া উচিত নয়। এক যুগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কয়েক গুণ বেড়েছে। বেতন

বৃদ্ধির উদ্দেশ্য ছিল দুর্নীতি বন্ধ করা। কিন্তু সে উদ্দেশ্য প্রায় শতভাগই ব্যর্থ হয়েছে কিনা তা-ই এক প্রশ্ন। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব যাদের সময়মতো তা বাস্তবায়নে তারা ব্যর্থ হলে এ ধরনের অযোগ্যদের দেশবাসীর ট্যাক্সের টাকায় পোষা উচিত হবে কিনা ভাবতে হবে। সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মান রক্ষায় ব্যর্থ হলে তাদের

হাত থেকে জাতিকে রেহাই দেওয়া সরকারের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর