বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বাণিজ্য টার্গেটে বৈদেশিক মিশন

ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রশংসনীয় উদ্যোগ

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বণিক শ্রেণির উত্থানে ইউরোপজুড়ে এক সামাজিক পরিবর্তন সূচিত হয়। বাণিজ্যের পরিসর বাড়িয়ে দেশের অর্থনীতি সুদৃঢ় হতে পারে। এ জন্য করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের নেতিবাচক প্রভাব থেকে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য রক্ষায় বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের ৭৮টি বৈদেশিক মিশনকে টার্গেট করেছে সরকার। এসব মিশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশি পণ্যের প্রচার করা হবে। যে দেশে যে পণ্যের চাহিদা বেশি সে দেশে সে পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি খাতের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করে দেওয়া হবে। আর এ যোগসূত্র তৈরির কাজটি করবে বৈদেশিক মিশনগুলো। আগে বৈদেশিক মিশনগুলোকে পণ্য রপ্তানির টার্গেট বেঁধে দেওয়া হতো। সময় সময় সে টার্গেট পূরণ হয়েছে কিনা তা মূল্যায়ন করা হতো। কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বিশ্ব বাণিজ্যে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মিশনগুলোর দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সরকার বৈদেশিক মিশনগুলোকে কাজে লাগিয়ে দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের পরামর্শ দিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের ৪৫টি বৈদেশিক মিশন রয়েছে। এ ছাড়া উপমিশনও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয়। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের পাশাপাশি আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা এবং রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন ইউরেশিয়া অঞ্চলের মিশনগুলোকেও বাংলাদেশি পণ্য ব্র্যান্ড হিসেবে বিদেশের মাটিতে তুলে ধরার উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এ কৌশল অনুসরণ করে বিদেশে অবস্থিত ৭৮টি বৈদেশিক মিশনকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারলে রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব। বৈদেশিক মিশনকে কাজে লাগিয়ে নতুন পণ্য ও বাজার অনুসন্ধান, পণ্যের বাজারজাতকরণ ও ব্র্যান্ডিং এবং বিশ্ব বাণিজ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পণ্য উৎপাদন ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আন্তদেশীয় সংযোগকে গুরুত্ব দিয়ে কর্মকৌশল নির্ধারণ জরুরি। অঞ্চলভিত্তিক পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন। নতুন পণ্য ও বাজার অনুসন্ধান, পণ্যের বাজারজাতকরণ ও ব্র্যান্ডিংয়ের বিষয়ে বাংলাদেশের বৈদেশিক মিশনগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।

 

 

সর্বশেষ খবর