মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সিনহা হত্যার চার্জশিট

অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত হোক

চাঞ্চল্যকর সিনহা হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে কক্সবাজার আদালতে। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাস, বাহারছড়া ক্যাম্পের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দিয়েছে র‌্যাব। চার্জশিটে বলা হয়, কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসের পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ মদদে মেজর (অব.) রাশেদ খুন হন। টেকনাফে বৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে অবৈধ কর্মকান্ডের অভয়াশ্রম গড়ে তুলেছিলেন ওসি প্রদীপ। বিষয়টি জেনে ফেলার কারণেই তাকে খুন করা হয়। কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে গত রবিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ইয়াবা বাণিজ্য

ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে ওসি প্রদীপ প্রতিদিন অর্ধ কোটি টাকা আয় করতেন। রবিবার সকালেই কক্সবাজারের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রাশেদ খান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম। সিনহা হত্যা মামলা সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু সদস্যের দুর্বিনীত কর্মকান্ডে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আশার কথা, এই সময়ে পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় তারা কোনো ব্যক্তিবিশেষের অপরাধকে বাহিনীর নয়, ব্যক্তির দায় হিসেবে দেখা হবে, অপরাধীদের কোনোভাবে ছাড় দেওয়া হবে না। সিনহা হত্যার তদন্তে যাতে হেলাফেলা না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার চেষ্টা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। পাঁচ মাস পর আদালতে দেওয়া চার্জশিটে অপরাধীদের যথাযথভাবেই চিহ্নিত করা হয়েছে। আশা করা যায় দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সিনহা হত্যাকান্ডের বিচার দৃষ্টান্ত স্থানীয় ভূমিকা পালন করবে। কেউ যে জবাবদিহি ও বিচারের ঊর্ধ্বে নয় সে সত্যটি প্রতিষ্ঠিত হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে যাতে অপরাধপ্রবণতা মাথা চাড়া দিয়ে না ওঠে তা নিশ্চিত করতে সিনহা হত্যার বিচার হুঁশিয়ারি হিসেবে বিবেচিত হবে- এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর