শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভবিষ্যৎ অংশীদারির প্রত্যয়

দুই দেশের সম্পর্ক ইতিবাচক হবে

দুই নিকট প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিশেষ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। সহযোগিতার ক্ষেত্র যেমন প্রসারিত হচ্ছে তেমন সম্পর্কের গভীরতাও বাড়ছে। করোনা সংক্রমণকালে সরবরাহব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন রেখে দুই দেশ সম্পর্কের বিশেষ মাত্রার প্রতিফলনও ঘটিয়েছে। এর পরও দুই দেশের মধ্যে পানি বণ্টনের সুরাহা, সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যা বন্ধ, ঋণচুক্তি বাস্তবায়ন দ্রুত করার মতো অমীমাংসিত বিষয়গুলো রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে অন্য প্রসঙ্গগুলোর পাশাপাশি এসব বিষয় নিয়েও খোলামেলা আলোচনা করেন। সহযোগিতার সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে ভবিষ্যৎ অংশীদারির প্রত্যয় জানিয়েছে দুই দেশ। উভয় দেশ বিদ্যমান সহযোগিতামূলক ঐকমত্যের সুযোগ নিয়ে অর্থনীতিকে আরও সংহত করে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ভ্যালু-চেইন আরও সমৃদ্ধ করতে পারে। শীর্ষ বৈঠকের আগে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি, সামাজিক উন্নয়ন, কৃষিসহ সাত বিষয়ে সহযোগিতার লক্ষ্যে সাতটি কাঠামো চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। পরে  ভার্চুয়াল বৈঠকে ৫৫ বছর পর বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ীর মধ্যে রেল করিডোরের উদ্বোধন করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। তারা যৌথভাবে উদ্বোধন করেন মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর একটি ডিজিটাল প্রদর্শনীর। যৌথভাবে মোড়ক উন্মোচন করেন বঙ্গবন্ধুর সম্মানে ভারতের ডাক বিভাগের একটি স্মারক ডাকটিকিটের। শীর্ষ বৈঠকে যৌথভাবে মুজিববর্ষ ও মুক্তিযুদ্ধের ৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনবিষয়ক সহযোগিতা, জ্বালানি খাতে বিদ্যমান সহযোগিতা চলমান রেখে ভবিষ্যৎ সহযোগিতা, কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তিজ্ঞানের বিনিময় ও সহযোগিতা, ভারতে বাংলাদেশি রপ্তানি ও সামগ্রিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ভবিষ্যৎ চুক্তির প্রয়োজনীয়তা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আঞ্চলিক সহযোগিতা, রোহিঙ্গা ইস্যু, আন্তসীমান্ত জ্বালানি বাণিজ্যে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। দুই প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল আলোচনায় করোনা মহামারী মোকাবিলায় সহযোগিতার প্রসঙ্গ এসেছে। এ ব্যাপারে ভারতের সহযোগিতার আশ্বাস আমাদের জন্য ইতিবাচক।

সর্বশেষ খবর