রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

দূর হোক মামলাজট

বিচারক নিয়োগসহ পদক্ষেপ নিন

সুপ্রিম কোর্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন মামলাজট কমাতে সংশ্লিষ্টদের গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য বিচারকরা কাজ করছেন। কারণ জনগণের আস্থাই বিচারকদের বড় সম্পদ। করোনার ক্রান্তিকালে বিচার বিভাগ ভার্চুয়ালি কাজ করে যাচ্ছে। এ পদ্ধতিতে আপিল ও হাই কোর্ট বিভাগে উল্লেখযোগ্য হারে মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। বিচারপ্রার্থীদের কষ্ট লাঘবে বিচারকদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। তিনি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিচারকদের সচেষ্ট থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি মামলাজট নিরসনে আদালত-সংশ্লিষ্টদের গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করার যে আহ্বান জানিয়েছেন তা প্রাসঙ্গিক ও তাৎপর্যপূর্ণ। মামলাজটের কারণে বিচারপ্রার্থীদের পক্ষে দ্রুত রায় পাওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের নিম্ন আদালতগুলোয় যে মামলাজট বিরাজ করছে তা এক কথায় ভয়াবহ। এমনকি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাই কোর্ট বিভাগে ৫ লাখের বেশি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী আপিল বিভাগে ১৫ হাজার ৪৬০ ও হাই কোর্ট বিভাগে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬২টি মামলা বিচারাধীন। তবে এ পাহাড়সম মামলার জট দূর করতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে কাজ করছেন মাত্র ৯৯ জন বিচারপতি। এর মধ্যে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগে সাতজন ও হাই কোর্ট বিভাগে ৯২ জন বিচারপতি দায়িত্ব পালন করছেন। আইনজ্ঞদের মতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে বিচারপতির সংখ্যা অনেক কম। ফলে সেখানেও মামলাজট অনিবার্য হয়ে উঠেছে। বলা হয়, বিলম্বিত বিচার বিচারহীনতার শামিল। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি দ্রুত বিচারের কৌশল অবলম্বন করতে হবে। এ ব্যাপারে আইনজীবীদেরও দায়বদ্ধ ভূমিকা গুরুত্বের দাবিদার। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচার প্রক্রিয়ায় গতি আনার কোনো বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর