মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ব্যবসা-বাণিজ্য সুরক্ষা

ঋণ ও প্রণোদনার অর্থ পরিশোধে সময় দিন

করোনাভাইরাস নামের ভয়াল দৈত্য জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে দুনিয়াজুড়ে। মহামারীতে প্রাণ হারিয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। শনাক্তকরণের জটিলতায় আক্রান্তের সঠিক তথ্য-উপাত্ত বের করা সত্যিকার অর্থেই কঠিন। তবে এ সংখ্যা যে কয়েক কোটিতে পৌঁছেছে তা সহজেই অনুমেয়। এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষ কতটা অসহায় তা প্রমাণিত হয়েছে গত বছরজুড়ে। তবে করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ মানুষের জীবনের ওপর যতটা হুমকি সৃষ্টি করেছে তার চেয়ে বেশি হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে জীবিকার জন্য। সারা দুনিয়ায় কয়েক কোটি মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে করোনাঘাতে। বাংলাদেশ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তুলনামূলক বিচারে ঈর্ষণীয় সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। এমনকি অর্থনীতির ধস ঠেকাতে হাতে গোনা কয়েকটি বাদে দুনিয়ার বেশির ভাগ দেশের চেয়ে বাংলাদেশের সাফল্য অনেক বেশি। এটি সম্ভব হয়েছে করোনাকালে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সচল রাখতে সরকার-ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের কারণে। মানুষ বেকার হয়ে পড়লে দেশে যে নৈরাজ্যের উদ্ভব ঘটত তার কুফল হতো করোনার চেয়েও বেশি। ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাভাবিকতা রক্ষায় ব্যবসায়ীরা সরকার-ঘোষিত প্যাকেজের মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। কারণ বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেলেও এখনো ব্যবসা-বাণিজ্য স্বভাবিক হয়নি, অন্যদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে সারা বিশ্বেই। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু ও সংক্রমণের হার। এ প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীদের দাবি বিবেচনাযোগ্য বলে আমরা মনে করি। কারণ, বিপর্যস্ত অর্থনীতি শতভাগ পুনরুদ্ধারের বিকল্প নেই। ব্যাংক ও প্রণোদনার ঋণ পরিশোধের সময়সীমা অন্তত জুন পর্যন্ত বাড়ানো উচিত। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল করার স্বার্থে ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব সরকার সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর