বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

মাদক নিয়ন্ত্রণ

ডোপ টেস্টের পরিধি বাড়ানো হোক

ভূত তাড়াতে সরিষার প্রয়োজন হয়। কিন্তু সরিষায় ভূত থাকলে সে চেষ্টা কতটা সফল হয় তা প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়। মাদক নিয়ন্ত্রণে সরিষার ভূত যাতে অন্তরায় না হয় তা নিশ্চিত করতে বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্টের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে মাদক নির্মূলে পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে ডোপ টেস্ট চললেও অন্য সব সরকারি দফতরে সে প্রক্রিয়া আরম্ভই করা যায়নি। এটি নিশ্চিত করতে এ-সংক্রান্ত বিধিমালা চূড়ান্ত হলে শুধু পুলিশ নয় অন্যান্য সরকারি দফতরের কর্মীদেরও ডোপ টেস্টের আওতায় আনার সুযোগ থাকবে। মাদক নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করানোর সুপারিশ থাকলেও বিধিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় তা আটকে আছে। মাদক গ্রহণের অভিযোগে ডোপ টেস্ট এবং পরে বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ১০ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ১৮ জন সাময়িক বরখাস্ত হন। মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে ৭৩ পুলিশ সদস্যকে। ডোপ টেস্টের পরিধি বাড়াতে বিধিমালা তৈরি করে গত বছরের জানুয়ারিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এরপর আইন মন্ত্রণালয় কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে ফেরত পাঠায়। সেগুলো ঠিক করে গত বছরের ২৮ অক্টোবর আবারও ফাইলটি পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাই শেষে কিছু সংশোধনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গত ৩ ডিসেম্বর সে ফাইল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে ফেরত এসেছে। আশা করা যাচ্ছে নতুন বছরের শুরুতে সেটি গেজেট আকারে প্রকাশ পাবে। সরকারি সব দফতরকে ডোপ টেস্টের আওতায় আনা হলে বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট করা হলে মাদকসেবীদের চিহ্নিত এবং নিয়ন্ত্রণে সুবিধা পাওয়া যাবে ও মাদক নিয়ন্ত্রণে তা কার্যকর ভূমিকা রাখবে। শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নয়, পুরো প্রশাসনকে মাদকের অভিশাপমুক্ত রাখা সম্ভব হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর