সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ঢাকায় পরিবহন সংকট

সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের হিসাবে, দেশে নিবন্ধিত যানবাহন আছে প্রায় ৪৪ লাখ। পরিবহন খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব যান চালনার সঙ্গে যুক্ত আছেন প্রায় ৭০ লাখ শ্রমিক। দেশের সড়ক খাতে সঠিক বেতন কাঠামো কার্যকর না থাকায় প্রায় ৯৮ শতাংশ পরিবহন শ্রমিক দৈনিক মজুরি বা ট্রিপভিত্তিক চাকরি করে থাকেন। অর্থাৎ দিনে আনে দিনে খায় অবস্থা। করোনা মহামারীতে অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে ঢাকা ছাড়লেও রাজধানীর গণপরিবহন সংকট কাটেনি। এখনো গন্তব্যে পৌঁছাতে নাভিশ্বাস উঠছে কর্মজীবী রাজধানীবাসীর। পথেই নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান কর্মঘণ্টা। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন কর্মজীবী নারী ও বৃদ্ধরা। এদিকে বাস সংকট থাকলেও সড়কে বিশৃঙ্খলার কারণে তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট, যা দীর্ঘায়িত করছে ভোগান্তি। অসংখ্য কর্মজীবী নারীকে সংসার সামলানোর পরও বাসে জায়গা পেতে অতিরিক্ত এক-দুই ঘণ্টা সময় হাতে নিয়ে বের হতে হয় বাসা থেকে। করোনা মহামারীতে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে অনেকে বাধ্য হয়ে ভিড় ঠেলে বাসে যাতায়াত করছেন। রাজধানীতে গণপরিবহন নৈরাজ্যে যানজট ও গণপরিবহন সংকটের সমস্যা দীর্ঘদিনের। করোনার মধ্যে অনেক মানুষ ঢাকা ছাড়লেও সমস্যা দূর হয়নি। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ পাসের পর ফিটনেস না থাকা অনেক বেসরকারি গাড়ি রাস্তা থেকে উঠে গেছে। বর্তমানে নতুন রুট পারমিটও বন্ধ রয়েছে। বাস মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতি বলছে, অফিস টাইমে ভিড়ের সমস্যা আগেই ছিল। এ ছাড়া ঢাকায় গাড়ি চালানো তেমন লাভজনক না হওয়ায় কিছু কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। ২২টি কোম্পানির আওতায় শিগগিরই নতুন গাড়ি রাস্তায় নামছে। তখন গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরবে। এতে রাজধানীর মধ্যে আন্তজেলা বাসের চাপ কমবে। পরিবহন সংকটে দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে বহু টাকা। আমাদের আশা, কর্তৃপক্ষ অচিরেই এ সংকট সমাধান করবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর