শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

মাদক নিয়ন্ত্রণে নতুন কৌশল

যথাযথ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিন

মাদকের অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্ত করতে সরকার সঠিক পথে হাঁটছে বলেই মনে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, পরিবহন শ্রমিক এবং স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় ডোপ টেস্টের বিষয়ে বিধিমালা তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। কুরিয়ার-সংশ্লিষ্ট মালামাল পরিবহনের সময় প্রেরকের এনআইডি কপি ও ছবি সংরক্ষণ করতে পারবে সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। দেশের বন্দরগুলোয় মাদক শনাক্তকরণ ডগ স্কোয়াড মোতায়েনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ও তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার

করে এদের গ্রেফতারে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) কার্যালয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একজন কর্মকর্তাকে রাখা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে গত রবিবার জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির সভায় মাদক নিরোধে উপরোক্ত বিষয়গুলো বাস্তবায়নের পাশাপাশি জনসচেতনতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এ উদ্দেশ্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোয় প্রচার চালানোর জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়টি যাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, সে ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হবে। মাদকসংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে প্রতিটি জেলায় বিশেষ এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত গঠনের জন্য অনুরোধ জানানো হবে আইন মন্ত্রণালয়কে। জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোয় সমস্যার বাস্তবমুখী সমাধানের পথ বেছে নেওয়া হয়েছে। ডোপ টেস্টের বিধান মাদক আগ্রাসন ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে আশা করা যায়। কুরিয়ার সার্ভিসে পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে এনআইডির কপি ও ছবি সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হলে তা মাদক পাচারকারীদের সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে কাজের কাজ বিবেচিত হবে।

এসব উদ্যোগ মাদকের ছোবল থেকে দেশের যুবসমাজের সুরক্ষায় অবদান রাখবে আশা করা যায়। তবে সবকিছু নির্ভর করছে সিদ্ধান্তগুলোর যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর।

সর্বশেষ খবর