শনিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

দৃশ্যমান উন্নয়নের বছর

প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি বাড়াতে হবে

চলতি বছরের প্রথম দিকে বিশ্বব্যাপী করোনার আঘাত শুরু হওয়ায় সামগ্রিক কাজকর্মে কিছুটা ছেদ পড়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজও বন্ধ ছিল মার্চ-মে সময়ে। ফলে ২০২১-এ যেসব প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা সেগুলো সমাপ্ত করতে গতি বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। আবার এদিকে চলছে করোনার দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ। এর পরও যেহেতু আগের মতো আতঙ্ক নেই, তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রকল্পগুলোর কাজে গতি এসেছে। চলমান অনেক উন্নয়ন প্রকল্প দৃশ্যমান হবে নতুন বছরে। শুধু তাই নয়, কোনো কোনো মেগা প্রকল্পের কাজ সমাপ্তের পথে এগিয়ে যাবে ২০২১ সালের মধ্যে। এ ছাড়া স্বপ্নের পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেলের একাংশ, কর্ণফুলী টানেলসহ কয়েকটি মেগা প্রকল্প উদ্বোধনের ক্ষণ গণনা শুরু হবে নতুন বছরের শেষে। ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজে আসবে দৃশমান অগ্রগতি। মেট্রোরেল লাইন-৬-এর পাশাপাশি অন্য লাইনগুলোর কাজও শুরু হবে। যমুনা নদীর ওপর শুরু হওয়া বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর কাজে হবে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে প্রথম জাহাজ এসে ভিড়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বে-টার্মিনাল নির্মাণকাজে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে এই সময়ে। পাশাপাশি দেশজুড়ে যে ১০০ ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা করছে বেজা, তাতে আসবে সাফল্য। বিশেষ করে মিরসরাইয়ে দেশের সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরের কাজ এগিয়ে চলেছে। সেখানে স্থাপিত বহু শিল্পগোষ্ঠীর কারখানা চলে যাবে উৎপাদনে। ফলে বাড়বে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি আয়। এ লক্ষ্য সামনে রেখে উন্নয়ন প্রকল্পের প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান ঠিক রাখতে অর্থায়নের বিকল্প পথের কথাও ভাবছে সরকার। আসছে নতুন বাজেটে থাকবে নির্দেশনা। এনবিআরের রাজস্ব বাড়ানোর গুচ্ছ পরিকল্পনাও থাকবে বাজেটে। এ ছাড়া বৈদেশিক সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে পদক্ষেপ থাকবে। চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের অবকাঠামো, কর্মসংস্থানসহ নানা খাতে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হবে। সুতরাং চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর