শনিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

পায়রা সেতু

অর্থনৈতিক খাত সুদৃঢ় হবে

শিল্পায়নের ক্ষেত্রে দেশের দক্ষিণাঞ্চল বেশ পিছিয়ে। অবকাঠামো, দুর্বল সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার কারণে সৃষ্টি হয়নি প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থান। অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের। ওই অঞ্চলের মানুষ আগে জলাবদ্ধতাকে তেমন সমস্যা মনে না করলেও গত আট-নয় বছর ধরে সমস্যা হিসেবেই দেখছে। দিন দিন তারা দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়ে যাচ্ছে। তারা সামাজিক মর্যাদাও হারিয়েছে। এ অবস্থা পরিবর্তনে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। নতুন বছরে আরও একটি স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর। দেশের সর্বদক্ষিণের কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত ও পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত চালু হচ্ছে ফেরিবিহীন সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা। জুনের শেষ ভাগে যানবাহন চলার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের লেবুখালী সেতু। পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করতে বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার মধ্যবর্তী পায়রা নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে নান্দনিক নকশায় এক্সট্রাডোজ ক্যাবল স্টেট পদ্ধতিতে। নব্বই দশকেও রাজধানী ঢাকা থেকে সড়কপথে বরিশাল জেলা সীমানায় প্রবেশের পর সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটায় যেতে সাতটি ফেরি পার হতে হতো। প্রতিটি ফেরিঘাটে দীর্ঘ অপেক্ষা, ভোগান্তি আর হয়রানির কারণে পর্যটকদের কাছে সাগরকন্যা কুয়াকাটা ছিল এক দুঃস্বপ্নের নাম। পর্যায়ক্রমে শিকারপুর, দোয়ারিকা, পটুয়াখালী, দপদপিয়া, কলাপাড়া, মহীপুর ও আলীপুর পয়েন্টে সেতু নির্মিত হলেও পায়রা নদীর লেবুখালী ফেরিঘাটে বিড়ম্বনা সইতে হয়েছে কুয়াকাটাগামী পর্যটকসহ দক্ষিণের মানুষের। যানবাহনের চাপের কারণে ফেরিঘাটে কেটে যেত দিনের একাংশ। তবে সে চিত্র আর থাকছে না। পায়রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য ২০১২ সালে প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়। দুই দফায় সময় বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ নেওয়া হয় ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। পায়রা সেতুতে সৌরবিদু্যুতের আলোয় রাতে নৈসর্গিক দৃশ্যের অবতারণা হবে। দেশের পর্যটন খাতের সমৃদ্ধির পাশাপাশি সুদৃঢ় হবে অর্থনীতি।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর