বুধবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনায় মৃত্যু

স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ক্রমেই মহামারী আকারে সংক্রমণ বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় সরকার। আর দেশে করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ। শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। মের মাঝামাঝি সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ওই মাসের শেষ দিক থেকে রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে চলে যায়। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত তা ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমা শুরু করে। একপর্যায়ে দৈনিক শনাক্তের হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত নেমে আসে। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর নভেম্বরের শুরুর দিকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। নভেম্ব^রের মাঝামাঝি থেকে দৈনিক নতুন রোগী শনাক্তের গড় ২ হাজার ছাড়ায়। অবশ্য কয়েক দিন ধরে নতুন রোগী শনাক্তের হার আবার ১০ শতাংশের নিচে চলে এসেছে। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ১৮ লাখ ছাড়িয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ৫২ হাজার এবং মোট আক্রান্ত ৮ কোটি ৫৫ লাখ। ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্যমতে করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১৯ দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। করোনার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে আক্রান্ত ও রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করায় ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে নতুন করে লকডাউন জারি হয়েছে। তবে টিকা না আসা পর্যন্ত সংক্রমণ প্রতিরোধের মূল উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। বিশেষ করে বাইরে বের হলে মাস্ক পরা শতভাগ নিশ্চিত করা, কিছু সময় পরপর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার বিধিও মেনে চলতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর