সোমবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

কভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন

দ্রুত সংগ্রহের উদ্যোগ নিন

কভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন কবে নাগাদ বাংলাদেশে আসবে তা নিয়েই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। মাত্র একটি উৎসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় জটিলতার মুখে পড়েছে দ্রুত ভ্যাকসিন প্রাপ্তির সম্ভাবনা। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনাকারের ভ্যাকসিন সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত এ ভ্যাকসিনের পরিবেশক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। বলা হয়েছিল এ ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়ার এক মাসের মধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে ৫০ লাখ ডোজ পাঠাবে। গত ৩ জানুয়ারি ভারতে এ টিকা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা থাকলেও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী বলেছেন, রপ্তানি শুরুর আগে আগামী দুই মাস তারা ভারতের স্থানীয় চাহিদা পূরণে জোর দেবেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে, সময় মতোই বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে। কিন্তু সেরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো স্পষ্ট ঘোষণা আসেনি। স্মর্তব্য, এ পর্যন্ত কভিড-১৯-এর মোট ৯টি টিকা বিভিন্ন দেশে অনুমোদন পেয়েছে। চলতি বছর বিশ্বব্যাপী ২০ বিলিয়ন ডোজ টিকা তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি টিকার অনুমোদন, উৎপাদন ও ব্যবহারও শুরু হয়েছে। কিন্তু বিশ্বের জনসংখ্যার তুলনায় তা খুবই অপর্যাপ্ত হওয়ায় বিভিন্ন দেশ যে যেভাবে পারছে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করছে। বেশ কয়েকটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান ট্রায়াল এবং কম দামে ভ্যাকসিন দিতে চেয়েছে কিন্তু তাদের প্রস্তাবের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। এখন একদিকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন পেতে দেরি হচ্ছে পাশাপাশি অন্য প্রতিষ্ঠান আসার দরজাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অব্যবস্থাপনায় আগেও ভুগতে হয়েছে, এখনো ভুগতে হচ্ছে। কভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি শুধু স্বাস্থ্যঝুঁকি নয় অর্থনীতির জন্য বিপদ সৃষ্টি করছে। এ ব্যাপারে সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে এমনটিই বাঞ্ছনীয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর