বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনা টিকা

স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়া শুরু হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হবে বাংলাদেশে। যত দ্রুত আমরা বেশির ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারব তত দ্রুত সংক্রমণের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনা যাবে। অনেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মনে করেন শরীরে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট অ্যান্টিবডি মাস ছয়েকের মধ্যে অকার্যকর হয়ে পড়ে। তাই একবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠলেও টিকা নেওয়া ভালো। যদি শরীরে অ্যান্টিবডি থাকেও, তা হলেও টিকা নিলে তা বুস্টার ডোজ হিসেবে কাজ করবে।  ২১-২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশে আসবে করোনা টিকার প্রথম চালান, ২৬ জানুয়ারি শুরু হবে নিবন্ধন। টিকা নিতে হলে গ্রহীতাকে একটি সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে। টিকা গ্রহীতার মোবাইলে জানানো হবে টিকা দেওয়ার স্থান ও সময়। টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা মাথায় রেখে উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কেন্দ্রভিত্তিক মেডিকেল টিম থাকবে। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সরাসরি যুক্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রথম ধাপের টিকার আওতায় আসবেন। তবে তাদেরও নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন করার পর এসএমএসের মাধ্যমে টিকা নেওয়ার দিন ও সময় জানানো হবে। তবে ১৮ বছরের নিচে ও প্রসূতিরা টিকার আওতায় আসবেন না। প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে দুজন নার্স ও চারজন স্বেচ্ছাসেবী থাকবেন। এ টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হার ২ থেকে ৩ শতাংশের মতো। টিকা কার্যক্রমের সফলতা নির্ভর করবে প্রক্রিয়াটি কতটা স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হলো তার ওপর। টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে যাতে বঞ্চনার অনুভূতি বা বিভক্তি সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সবাইকে নিয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে। তাহলেই গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর