বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

পিপল লিজিং কেলেঙ্কারি

লুটেরারা যেন পার না পায়

দেশের ইতিহাসের অন্যতম শীর্ষ লুটেরা পি কে হালদারের লুণ্ঠিত অর্থ থেকে ৯৬০ কোটি টাকা জব্দ করতে সমর্থ হয়েছে দুদক। এর আগে পি কে হালদারের পিপল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড ভুয়া চার প্রতিষ্ঠানকে ৩ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানে উদঘাটিত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিগুলোর নামে থাকা ৯৬০ কোটি টাকা দুদক জব্দ করে। ওইসব লুটেরা প্রতিষ্ঠানের ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলেও তারা দুদকে হাজির হননি। পি কে হালদারের পিপল লিজিংয়ের ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা লোপাটের পেছনে রয়েছে আত্মীয়স্বজনের নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক হিসাব খুলে ঋণ দেওয়ার ঘটনা। পিপল লিজিংয়ের নওশেরুল ইসলাম, মমতাজ বেগম, বাসুদেব ব্যানার্জি ও পাপিয়া ব্যানার্জির নামে খোলা ভুয়া কোম্পানিকে ৩ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়; যার ৯৬০ কোটি টাকা ছাড়া বাকি অর্থ এরই মধ্যে তুলে নেওয়া হয়। উদ্ধারকৃত অর্থের মধ্যে নওশেরুল ইসলামের লুটেরা কোম্পানির নামেই ৯৫২ কোটি টাকা জমা ছিল। বাসুদেব ব্যানার্জি ও পাপিয়া ব্যানার্জির ভুয়া কোম্পানির নামে যথাক্রমে ৪.৬৪ কোটি ও ৬১ লাখ এবং মমতাজ বেগমের নামে ২.৬৯ কোটি টাকা জমা ছিল। পি কে হালদারের পিপল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিসের লুট কর্মকা- দেশের ইতিহাসের অন্যতম দুর্নীতি হিসেবে বিবেচিত। এ লুট কর্মকা-ের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক সাজাই শুধু নয়, লুটকৃত অর্থ উদ্ধারও সরকার তথা প্রশাসনের কর্তব্য বিবেচিত হওয়া উচিত। দুর্নীতি রোধে দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূলতার কারণে রাষ্ট্রীয় এ প্রতিষ্ঠানের সাফল্য এখনো পর্যন্ত আহামরি কিছু নয়। পি কে হালদারের লুটকৃত অর্থ উদ্ধারে দুদক সফল হলে তা হবে সত্যিকার অর্থে এক বড় অর্জন। আরও বড় অর্জনের পথে অর্থাৎ দুর্নীতিবাজদের মনে ভয় ঢোকাতে তা অবদান রাখবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর