শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ভুলে ভরা বই

দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়ার কৃতিত্বের সঙ্গে শুদ্ধতার প্রশ্নটিও অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি মহলকে অনেক সময় যথাসময়ে বই প্রকাশ ও বিতরণের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি, কিন্তু এখন সময় এসেছে ভুলে ভরা বইয়ের ব্যাপারে জনগণের কাছে জবাবদিহি করার। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বইয়ের বেশির ভাগেই দেশের সংবিধান, ভোটাভুটির ফল আর উৎসব নিয়ে অশুদ্ধ সব তথ্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন বর্ষের বই নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে নানা অসংগতি উঠে এসেছে। ভুলে ভরা এসব বই দিয়েই শিক্ষার্থীরা নতুন বছরে পড়াশোনা শুরু করেছে। নতুন বইয়ের বিভ্রান্তিকর তথ্যে বিব্রত শিক্ষক, অভিভাবকসহ সচেতন মানুষ। বাংলাদেশের সংবিধানে এ পর্যন্ত ১৭টি সংশোধনী আনা হলেও নবম ও দশম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা বইয়ের ৫১ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে ‘১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের পর থেকে এ পর্যন্ত সংবিধান মোট ১৬ বার সংশোধন করা হয়েছে।’ অথচ ২০১৮ সালের এপ্রিলে সপ্তদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে পাস হয়। এরপর তিন বছর পার হতে চললেও এটি সংশোধন করেনি এনসিটিবি। সরকার শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে নিরুৎসাহিত করলেও পাঠ্যবইয়ে কোচিংকে শিক্ষার বাড়তি ‘সুযোগ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দুর্বল বাক্য গঠন, ত্রুটিপূর্ণ সম্পাদনার পাশাপাশি প্রচুর বানান ভুল লক্ষ্য করা গেছে। লেখা, লেখক, সম্পাদক নির্বাচন ও কর্ম সমন্বয়ে দায়িত্বহীনতা প্রকাশ পেয়েছে। এনসিটিবি বলছে, বইগুলো ২০১৩ সালে প্রণয়ন করা হয়। ভুল হয়ে থাকলে এসব বইয়ের লেখক, সম্পাদনা পরিষদ ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তারা বসবেন। কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত পান্ডুলিপি, প্রেসকপি তৈরি, অর্থ অপচয়ের আগে কেন বসেননি? পাঠ্যবইয়ের তথ্য পরিবেশনে যতœশীল হতে হবে। প্রকাশনা ব্যবস্থাপনার মান খুবই উন্নত ও নি-িদ্র করার বিকল্প নেই। দোষীদের মার্জনা নয়, শাস্তি দেওয়া হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর