সোমবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

অনিশ্চয়তায় শিক্ষা

কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতে হবে

করোনা-পরবর্তী আমাদের পৃথিবী, সমাজ আর আগের মতো হবে না। এখন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, কিন্তু ন্যানোমিটার দৈর্ঘ্যরে করোনাভাইরাস আমাদের ঠিকই পরীক্ষা নিচ্ছে। কাজেই এই বৈশ্বিক সমস্যা সফলভাবে মোকাবিলা করতে আমাদের মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ হতে হবে, কাজ করতে হবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। আমরা নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছি। এই দক্ষতা অর্জনের চাবিকাঠি হলো শিক্ষা। তাই শিক্ষায় আমাদের জোর দিতে হবে। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক সবাই উৎকণ্ঠিত। অনেকে জানেন না, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান ফেব্রুয়ারি থেকে অনলাইন ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানো ও ভর্তি কার্যক্রমগুলো সম্পন্ন করা হচ্ছে। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগী হচ্ছে না। অবসর সময় কাটছে মোবাইল-কম্পিউটারে গেইম খেলে। অনেক শিক্ষার্থীর মানসিক সমস্যা শুরু হয়েছে। দিনের বেশির ভাগ সময় ঘরে বসে টিভি-কম্পিউটারের সামনে কাটানোর ফলে তাদের ক্ষুধা-মন্দা, ঘুমের সমস্যা এমনকি শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিচ্ছে। ভাবা হয়েছিল করোনার মহামারীতে যখন স্কুল-কলেজে উপস্থিত হওয়া নিরাপদ নয়, তখন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার এই ধারাকে অব্যাহত রাখাই বড় সমাধান। কিন্তু অনলাইন পাঠদান পদ্ধতি কার্যকর প্রমাণিত হয়নি। এর মূল কারণ দেশের বহু শিক্ষার্থী তথ্যপ্রযুক্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত। দেশের অফিস-আদালতসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। ইউরোপে দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা বিস্তৃত হচ্ছে। সামনে রোজা। রোজার পরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যেতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত সংগ্রাম জড়িত। তারা অনেকেই টিউশনি, খন্ডকালীন চাকরি করে নিজের খরচ এমনকি মা-বাবার ওষুধের খরচ দিত তাদেরও অনিশ্চিত জীবন।  অনলাইন শিক্ষা, অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে পাঠদানের নামে অর্থ অপচয় না করে দ্রুত কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর