মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

নারী নির্যাতন

অভিযুক্তদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে

বাংলাদেশে ধর্ষণ কার্যত এক অপ্রতিরোধ্য অপরাধ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। অত্যন্ত কঠোর আইন, নারী অধিকার সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ, সংবাদমাধ্যমের লেখালেখি- কোনো কিছুতেই ধর্ষণকারীদের দৌরাত্ম্য কমছে না। দেশের আনাচে-কানাচে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বয়সী নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। কখনো কখনো অবিশ্বাস্য রকমের পাশবিক কায়দায় একের পর এক ঘটে চলেছে ধর্ষণ; যেন ধর্ষকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। গত বছর বাংলাদেশে ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদ হয়েছে। সম্প্রতি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সন্তানদের সামনেই বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালানো হয়েছে। শনিবার এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেদিনই আদালতের নির্দেশে বিষয়টি তদন্তে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নে ১ জানুয়ারি রাতে এ ঘটনা ঘটে। ৫ জানুয়ারি ওই গৃহবধূ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এ একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। বিচারক বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেন। ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংস নানা অপরাধের বিচার ঠিকমতো হলে, অপরাধীরা দ- ভোগ করলে আজ বাংলাদেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের চিত্র এমন ‘বর্বরতার চূড়ান্ত’ পর্যায়ে পৌঁছাত না। ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতাপূর্ণ নানা অপরাধের ঘটনায় বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি পাকাপোক্ত রূপ পেয়েছে তার পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়। ধর্ষণ, নারী-শিশু নির্যাতনসহ সব ধরনের অপরাধবৃত্তি দমনের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা সরকারের একান্ত দায়িত্ব। প্রশাসনের উচিত এসব অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগের পথ সুগম করা। তাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর