বুধবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

গৃহহীনদের ঘর প্রদান

মুজিববর্ষের সেরা কর্মসূচি

মুজিব জন্মশতবর্ষে সরকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে অসংখ্য কর্মসূচি। সর্বকালের সেরা বাঙালি, স্বাধীনতার মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশতবর্ষকে কৃতজ্ঞ জাতি অনন্য মর্যাদায় উদযাপনের চেষ্টা করবে এমনটিই স্বাভাবিক। তার পরও কিছু কিছু উদ্যোগ মুজিব শতবর্ষকে আলাদা মর্যাদায় উদ্ভাসিত করেছে, তার মধ্যে ৯ লাখ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে সেমিপাকা টিনশেড ঘর প্রদান নিঃসন্দেহে একটি মহত্তম কর্মসূচি। দেশের ৬৪ জেলার তৃণমূল পর্যায়ে তালিকা করে ছিন্নমূল ও দুস্থ পরিবারকে এ ধরনের বিশেষ ঘর দেওয়া হচ্ছে। প্রথম ধাপে ২৩ জানুয়ারি ৬৯ হাজার ৯০৪ পরিবারকে বাসস্থান হস্তান্তর করা হবে। প্রতিটি পরিবারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সর্বনিম্ন ২ শতাংশ খাসজমি। কোথাও কোথাও ভূমিহীনরা পেয়েছে ৩ বা ৫ শতাংশ জমি। এর মধ্যে দুটি শোয়ার ঘর, একটি বসার ঘর, একটি রান্নার ঘর ও একটি টয়লেট রয়েছে। ঘরপ্রতি ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এ হিসাবে গৃহহীনদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে খরচ করা হয়েছে ১ হাজার ১৬৮ দশমিক ৭১ কোটি টাকা। ২৩ জানুয়ারি গণভবন থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালের জুনে। ডিপিপি অনুযায়ী বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ৪ হাজার ৮২৬ দশমিক ১৬ কোটি টাকা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই আরও ১ লাখ একক ঘর বরাদ্দ করা হবে। পর্যায়ক্রমে প্রায় ৯ লাখ ভূমিহীন পরিবারকে দেওয়া হবে মাথা গোঁজার ঠাঁই। মুজিব শতবর্ষে ভূমিহীন নিঃস্ব ৯ লাখ মানুষের কাছে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দেওয়া হবে। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা ও বাসস্থানের মতো মৌলিক অধিকারগুলো দেশের সব নাগরিকের জন্য নিশ্চিত করা। এ লক্ষ্য অর্জনের পথে সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করা নিঃসন্দেহে একটি মহৎ কর্মসূচি; যা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে তীক্ষ নজর রাখা হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর