বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ইসির ব্যয় বিলাসিতা

দেশবাসীর আস্থা ফিরিয়ে আনুন

করোনাভাইরাস বিশ্ব অর্থনীতিতে ধস নামিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি সেভাবে মার না খেলেও এ মহামারী গত নয় মাসে যে ক্ষয়ক্ষতি বয়ে এনেছে তা পূরণে কয়েক বছর লেগে যাবে। এ অবস্থায় ব্যয় সংকোচন যখন সব রাষ্ট্রীয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হওয়া উচিত তখন নির্বাচন কমিশন চলছে উল্টোপথে। ব্যয়বিলাসের রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে রাষ্ট্রীয় এ প্রতিষ্ঠানটি। দেশবাসীকে গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে না পারলেও নানা অজুহাতে অর্থ ব্যয়ের অভিযোগ এখন ওপেন সিক্রেট। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে সারা দেশে মোট ৪ হাজার ২০১টি নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার কথা। এ জন্য এ অর্থবছরের বাজেটে ইসির অনুকূলে বরাদ্দ রয়েছে ৪৩৩ কোটি টাকা। যদিও বাজেট ঘোষণার আগে এ খাতে তারা চেয়েছিল ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিতও হয়েছে। বাকিগুলো সম্পন্ন করতে সংশোধিত বাজেট ২০২০-২১ থেকে নির্বাচনী কাজের জন্য অতিরিক্ত ১ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে ইসি, যা বাজেট বরাদ্দের তুলনায় ২৬০ শতাংশ বেশি। ইসির সবচেয়ে আলোচিত ও বিতর্কিত ব্যয়ের মধ্যে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ খাতেও অতিরিক্ত ৩৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ চাহিদাকে অনেকটা অযৌক্তিক বলে মত দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের কর্তাব্যক্তিদের অভিমত তারা শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করেই দায়িত্ব পালন করছেন। তারা নিজেদের এ বক্তব্য নিজেরা বিশ্বাস করেন কিনা সন্দেহের উর্ধে নয়। নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন থাকায় তাদের কাছ থেকে স্বচ্ছতা আশা করা যায় কিনা ভাবতে হবে। নির্বাচনে জনমত প্রতিফলিত হয়। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আমলে দেশবাসী আস্থার সংকটে ভুগছে। এ অবস্থার অবসানে তারা নিজেদের শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করবেন এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর