শিরোনাম
শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

সংকটে শিক্ষা

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করা হোক

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চলমান ছুটি ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গত বছর ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাঙ্গন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা বিঘিœত হচ্ছে। ইতিমধ্যে গত বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। গত বছর এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হলেও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া যায়নি করোনার কারণে। পরীক্ষা ছাড়া তারা সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে, যদিও ফলের ক্রম নির্ধারণ হবে পূর্ববর্তী এসএসসি, জেএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে। এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন। তার অনেকেই উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবে না। এ বিষয়ে সংসদের চলতি অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা বলেছেন করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ক্লাস হলেও তা যথেষ্ট নয়। তাই শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংসদ সদস্যরা। করোনাভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়াচ্ছে সংস্পর্শের মাধ্যমে। আক্রান্তের সঙ্গে অন্য মানুষের সংস্পর্শ এড়ানোই সংক্রমণ ঠেকানোর একমাত্র উপায়। সংক্রমণ থামাতে বা অন্তত কমাতে আক্রান্ত এলাকাকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা খুবই কার্যকর। করোনা যত প্রলম্বি^ত হোক শিক্ষা কার্যক্রম আর বন্ধ রাখা ঠিক হবে না। জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে যেমন করোনার সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে হচ্ছে শিক্ষার ক্ষেত্রেও তেমন চেষ্টা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষার প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেওয়াও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর