শনিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনার টিকা

পরীক্ষামূলক প্রয়োগ দ্রুত সম্পন্ন হোক

সংক্রমণ শুরুর ১০ মাস পর বাংলাদেশে করোনার টিকা এসেছে। জনস্বাস্থ্যবিদদের অনেকে মনে করেন মহামারী মোকাবিলার স্থায়ী সমাধান দিতে পারে এ টিকা। ৮ ফেব্রুয়ারি দেশের সব জেলায় একযোগে টিকাদান শুরু হবে। বৃহস্পতিবার ভারত সরকার উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ২০ লাখ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাঠিয়েছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ‘কভিশিল্ড’ নামের টিকা উৎপাদন করেছে। বাংলাদেশ সরকার, সেরাম ও বেক্সিমকো ফার্মার মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী এ মাসে আরও ৫০ লাখ টিকা আসার কথা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ উপহার বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করবে। ভবিষ্যতে দুই দেশের একসঙ্গে পথচলা সুগম হবে। বিশ্বের মধ্যে করোনা সংক্রমিত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ২০তম অবস্থানে। জানা গেছে, বাংলাদেশে করোনভাইরাসের টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করতে যাচ্ছে একটি চীনা প্রতিষ্ঠান। টিকার পরীক্ষার পাশাপাশি তারা যৌথ গবেষণা ও উৎপাদনের কারখানাও স্থাপন করতে চায়। এসব বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনার জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট দু-এক দিনের মধ্যে ঢাকায় আসছেন। দেশে টিকা পরীক্ষা করতে চীনা প্রতিষ্ঠানটি হলো আনুই জিফেই লংকম বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড। পরীক্ষামূলক প্রয়োগের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি। এ মুহূর্তের জরুরি হলো টিকা পরীক্ষার কাজটি দ্রুত শুরু করা। সে জন্য কিছু প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। মানুষের দেহে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের (ট্রায়াল) প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ ও ঝামেলাপূর্ণ। যাদের দেহে পরীক্ষামূলকভাবে টিকা প্রয়োগ করা হবে তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি নিয়মিত নজর রাখা এবং তাদের কেউ আক্রান্ত হলে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব প্রস্তুতিমূলক কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। আমাদের জনসংখ্যা বিপুল; প্রতিটি মানুষের জন্য টিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর