শিরোনাম
শনিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

উচ্ছেদ অভিযান

জনস্বার্থে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হোক

দেশে অন্যের জায়গায় অন্যায়ভাবে স্থাপনা গড়ে তোলার প্রবণতা অত্যন্ত প্রবল। সরকারি প্রতিষ্ঠান, সংস্থার ফাঁকা, অব্যবহৃত জায়গাজমির নিয়মিত তদারকি না করার ফলে সেসব জায়গায় অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার হিড়িক পড়ে যায়। বিশেষত সড়ক-মহাসড়কের দুই পাশের ফাঁকা জায়গায় অবৈধভাবে দোকানপাট, ছোটখাটো কারখানা, এমনকি বিপণিবিতানও গড়ে তোলা হয়। শহর-উপশহরের ফুটপাথ তো বটেই বাজার এলাকায়ও খাসজমিতে অবৈধভাবে দোকানপাট, এমনকি পাকা মার্কেটও গড়ে তোলা হয়। এসব অবৈধ নির্মাণকাজ চলে দিনের পর দিন। তারপর হঠাৎ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে, তখন অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করার অভিযান শুরু হয়। এ নিয়ে নানা অপ্রীতিকর অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্লবীতে সড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের সময় দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষ ও ভাঙচুর হয়। সকাল ১০টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অভিযানের শুরুতে হামলা করেন অবৈধ দখলদাররা। এ অবস্থায় প্রথমে মিরপুরে ডিএনসিসির উচ্ছেদ টিম পিছু হটলেও পরে ঘুরে দাঁড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। দখলদাররা ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিক্ষেপ করে। দুই পক্ষের এ সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন নগরবাসীর বৃহত্তর স্বার্থে পল্লবীর সড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করছেন তারা। দখলদার যে-ই হোক, জনস্বার্থে তাদের অপসারণ করা হবে। আসলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে স্থাপনার মালিকরা প্রতিবাদ করেন, কেউ কেউ আদালতে মামলাও করেন। আদালত হয়তো স্থগিতাদেশ কিংবা উচ্ছেদ অভিযানের পক্ষে রায় দেয়। তার পরও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সম্ভব হয় না ‘প্রভাবশালী’ গোষ্ঠীর চাপে।মাঝপথে থেমে যায় অভিযান। আমাদের আশা,কর্তৃপক্ষ সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর