সোমবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি

গুণগতমান নিশ্চিত করতে হবে

দেশের আনাচে-কানাচে অনেক পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে, যেগুলো আবার বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, তৈরি পোশাক, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্রকৌশল পণ্য, হস্তশিল্প এবং চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সামগ্রিক রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে সারা বিশ্বে প্লাস্টিক পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। সিঙ্গাপুরে মাথাপিছু ১৩০ কেজি প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার হয়, সেখানে বাংলাদেশে হচ্ছে মাত্র ৫-৭ কেজি। কিন্তু আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ মাথাপিছু ৩৫ কেজি প্লাস্টিকের চাহিদা তৈরি হবে। আগামী ১০ বছরে প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১০ বিলিয়নে উন্নীতকরণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন এই খাতের উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে আগামী ২০৩০ সালে ১০ বিলিয়ন টাকার প্লাস্টিক পণ্যসামগ্রী রপ্তানির স্বপ্ন দেখছি। এই রপ্তানি আগামী বছর ২ বিলিয়নে উন্নীত হবে। এই লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি সহায়তায় দক্ষ জনবল তৈরি ও বিশ্বমানের পরীক্ষাগার স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লাস্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি-বিআইপিইটি। প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সরকার সব ধরনের নীতিগত সহায়তা দেবে। দক্ষ জনবল তৈরি এবং আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাব স্থাপনসহ এ শিল্প খাত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বিআইপিইটি। প্লাস্টিক শিল্প বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় খাত, বিশ্বে প্লাস্টিক পণ্যের বিশাল  রপ্তানি বাজার রয়েছে। পণ্যের মান, ডিজাইন ও দক্ষতা দিয়ে বিশ্ববাজার দখল করতে হবে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বরে) ৯৮৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। তবে মোট পণ্য রপ্তানির ৮২ শতাংশই পোশাক খাত থেকে এসেছে। এ আয় ৯৬৬ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি। গুণগতমানের পণ্য উৎপাদন হলে রপ্তানিতে গতি বাড়বে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর