মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন

জনগণের উৎসবে পরিণত হোক

রাত পেরোলেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। একে কেন্দ্র করে বন্দরনগর চট্টগ্রাম উৎসবে মেতে উঠেছে। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অংশগ্রহণে নির্বাচন জমজমাট হয়ে উঠবে বলেই আশা করা হচ্ছে। চট্টগ্রামকে বলা হয় দেশের অর্থনীতির স্নায়ু কেন্দ্র। দেশের বৃহত্তম এ বাণিজ্য কেন্দ্র সমস্যার নগর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে অন্তত দুই যুগ ধরে। বিশেষত জলাবদ্ধতার অভিশাপ বন্দরনগরের প্রধান সমস্যা হয়ে বিরাজ করছে। এ বিষয়ে একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও আসল কাজ হয়নি বললেই চলে। ফলে আগামীকালের নির্বাচনে এ ইস্যুটি ভোটারদের ভোটদানের ক্ষেত্রে অনেকাংশে সিদ্ধান্তসূচক ভূমিকা রাখবে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর মহানগরে ভোট গ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। ফলে ভুয়া ভোট দেওয়া কিংবা ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের কোনো আশঙ্কা থাকবে না। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি হবে না তা অনেকাংশে নির্ভর করবে ভোটারদের স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের ওপর। নির্বাচনে বিশেষ করে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের অনেকের সামাজিক পরিচিতি স্বচ্ছ নয়। ফলে নির্বাচন কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে সংকট দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কা প্রবল। ২৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম সিটির মোট ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়া আরও পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মেয়র পদে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে সাধারণ ওয়ার্ড ৪১। এর মধ্যে একটি ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী মারা যাওয়ায় ভোট স্থগিত রয়েছে, আরেকটি ওয়ার্ডে প্রতিপক্ষের প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন হলো জনগণের উৎসব। আমরা আশা করব দেশের নির্বাচনব্যবস্থা সম্পর্কে যে আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন জনগণের উৎসবে পরিণত হবে। সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন তাদের সাধ্যের সব কিছুই করবে।

সর্বশেষ খবর