বুধবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি

ক্ষতিপূরণে বাড়তি উদ্যোগ নিন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ ১১ মাস বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অচিরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হবে। সরকারের কাছ থেকে নির্দেশনা পেয়ে দেশজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জোর প্রস্তুতিও চলছে। বন্ধ থাকা প্রতিষ্ঠানের ধুলোমাখা বেঞ্চ, ব্ল্যাকবোর্ড ছাড়াও পরিষ্কার করা হচ্ছে ক্লাসরুম। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার বেসিন স্থাপন, সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্যবিধি, শারীরিক দূরত্বের বিধি, হাত ধোয়ার সঠিক নিয়ম, মাস্ক পরার নিয়ম, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার সম্পর্কিত নোটিস টানানো হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোয়। মহামারীর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য পুনর্বিন্যস্ত নতুন পাঠ্যসূচি প্রকাশ করেছে সরকার। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার ওয়েবসাইটে এ পাঠ্যসূচি প্রকাশ করে এ বিষয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অবহিত করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারের জারি করা নির্দেশনা, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের নির্দেশনা অনুসরণ করে কভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও। শিক্ষাকে বলা হয় জাতির মেরুদন্ড। দীর্ঘ ১১ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে তা এক কথায় অপূরণীয়। তবে সবকিছুর চেয়ে জীবনের মূল্য যেহেতু বেশি সেহেতু জেনেশুনেই সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। দেশে করোনার প্রকোপ কমে আসায় ও ভ্যাকসিন দেশে চলে আসায় মহামারীসংক্রান্ত ঝুঁকি কিছুটা হলেও হ্রাস পেয়েছে। তার পরও প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালন করা হবে এমনটিই প্রত্যাশিত। ১১ মাসে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণে আগামী এক বছর ছুটির সংখ্যা কমিয়ে আনা এবং পাঠদানের ক্ষেত্রে বাড়তি মনোযোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে- আমরা এমনটিই দেখতে চাই।

সর্বশেষ খবর