দক্ষিণ এশিয়ার সমৃদ্ধ অথচ ক্ষুদ্রতম দ্বীপদেশ মালদ্বীপ বাংলাদেশের সঙ্গে গভীর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে আবদ্ধ হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মালদ্বীপের প্রতি প্রথম থেকেই ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে বাংলাদেশ। সার্কের সদস্য ও মুসলিম দেশ হিসেবে মালদ্বীপের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের যে বন্ধন থাকা উচিত তার চেয়েও ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে বাংলাদেশের আচরণে। মালদ্বীপ বাংলাদেশ থেকে পলিমাটি আমদানি করতে চেয়েছিল এক যুগের বেশি আগে। বাংলাদেশ সে সময় তাতে ইতিবাচক সাড়া দেয়। কিন্তু সে বিষয়টি সেখানেই থেমে যায় অজ্ঞাত কারণে। অচিরেই বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে রপ্তানি হবে পলিমাটি। সরাসরি যোগাযোগের জন্য উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তিতে আবদ্ধ হতে চায় বাংলাদেশ। মালদ্বীপের সঙ্গে আলোচনা চলছে জনশক্তি রপ্তানি নিয়েও। সম্পর্কের এ নতুন বাতাবরণে উৎসাহ দেখাচ্ছে ভারত মহাসাগরের দ্বীপদেশটি। সে তাগিদ থেকেই অন্তত এক ডজন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে এগিয়ে আসছে মালদ্বীপ। সম্পর্কের মোড় ঘোরাতে ফেব্রুয়ারিতেই ঢাকায় আসছেন মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই সফরে দুই দেশের মধ্যে অন্তত আটটি বিষয়ে চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর এবং আলোচনার জন্য আরও ১২টি ইস্যু চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলো- বিনিয়োগ উন্নয়ন, জনশক্তি রপ্তানি, উপকূলীয় জাহাজ চলাচল, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে সহায়তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ ইস্যুতে সহায়তা, স্বাস্থ্য খাতে সহায়তা, সংস্কৃতিবিষয়ক সহায়তা, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সহায়তা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সহায়তা, তথ্যপ্রযুক্তি ও কৃষি খাতে সহায়তা, বন্দী বিনিময় এবং অন্যান্য ইস্যু। মালদ্বীপের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুপক্ষীয় সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে উভয় দেশই লাভবান হবে। অতীতে বন্ধুপ্রতিম দেশ মালদ্বীপের সংকটে বাংলাদেশ সামর্থ্য অনুযায়ী পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। আমাদের বিশ্বাস, মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর দুই দেশের বন্ধুত্ব দৃঢ়ীকরণে অবদান রাখবে।