বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

অ্যান্টিবায়োটিক

মাত্রা ছাড়া ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কঠোর হতে হবে

অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অ্যান্টিমাইক্রোবাইয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর)-বিষয়ক ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপের উদ্বোধনী সভায় দেওয়া রেকর্ড করা বক্তব্যে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী এসব প্রস্তাব রেখেছেন। তাঁর প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে- আইনের কঠোর বাস্তবায়ন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিমাইক্রোবাইয়াল পণ্য বিক্রয় বন্ধ এবং এএমআর-সংক্রান্ত গবেষণা জোরদার করা। শেখ হাসিনা বলেন, কভিড-১৯ মহামারীর কারণে মানব জাতি এক বছরের বেশি সময় ধরে মহাসংকট মোকাবিলা করছে। নীরবে বেড়ে ওঠা জীবাণুনাশক ওষুধের অকার্যকারিতা আধুনিক ওষুধের উল্লেখযোগ্য সব অগ্রগতিকে বিপন্ন করতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা বলছে, হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ৭০-৮০ শতাংশ রোগী সুপারবাগ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে মারা যায় এবং ২৫ শতাংশ ব্যাকটেরিয়াই বাজারে পাওয়া সব ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্যান্স বা প্রতিরোধী। এ ছাড়া ৬০ শতাংশ টাইফয়েড জ্বরে সিপ্রোফ্লক্সাসিন অকার্যকর হয়ে গেছে। মৌসুমি জ্বর-সর্দি-কাশি প্রধানত ভাইরাসজনিত হলেও ধুমসে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন, আবার দু-তিন ডোজে ভালো হওয়ার পরই হঠাৎ তা বন্ধ করে দেওয়া এবং এভাবে জীবাণুকে আগ্রাসী হতে সহায়তা করার রূঢ় বাস্তবতা প্রায় কারও অজানা নয়। এভাবে কারণে-অকারণে এবং বয়স অনুযায়ী যথাযথ মাত্রায়, নিম্নমানের ও নির্দেশিত মেয়াদের কম সময় গলাধঃকরণ বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের অন্যতম কারণ। কভিড-১৯-এ বিশ্বের আরও অনেক অঞ্চলের মতো বাংলাদেশিরাও সহজলভ্য অ্যান্টিবায়োটিকে ঝুঁকে পড়েছে। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির মাত্রা বেড়ে গেছে। উন্নত বিশ্বে খেয়ালখুশিমাফিক অ্যান্টিবায়োটিক কেনাবেচা যায় না। এগুলো যাতে সহজলভ্য না হয় সে জন্য তেমন কোনো প্রশাসনিক উদ্যোগ নেই। তবে মানুষকে শুধু বিরত থাকতে বললেই হবে না, তার সামনে রোগ সারানোর উপকরণগুলো সহজলভ্য করতে হবে।

এটাই সব থেকে বড় উদ্বেগের, এর অবসান হোক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর