বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

রাতের ঢাকার নিরাপত্তা

হেলাফেলা থাকা উচিত নয়

রাতের ঢাকার নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছে, যা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। রাজধানীর রাজপথ থেকে ডিএমপির চেকপোস্ট উঠিয়ে নেওয়ার পর এ অবস্থার সৃষ্টি। বেড়ে গেছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই। দুনিয়ার প্রতিটি মেগা সিটি রাতের বেলায়ও থাকে সরব। সেদিক থেকে ঢাকা অনেকাংশে ব্যতিক্রম। ঢাকায় রাতের বেলায় দোকানপাট খোলা থাকে না বললেই চলে। যানবাহন চলাচলও হয়ে পড়ে সীমিত। এ সময় অপরাধ ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকায় অপরাধীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। রাস্তায় পুলিশের চেকপোস্ট থাকলে তা অপরাধীদের মধ্যে ভয় ঢোকাতে সাহায্য করে। রাজধানীতে রাত্রীকালীন নিরাপত্তায় যে ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য কর্তৃপক্ষীয় নজরদারির অভাব অনেকাংশে দায়ী। পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা অপরাধ নিয়ন্ত্রণের বাইরেও নানা কাজে ব্যস্ত থাকায় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শিথিলতা এসেছে। রাত ১০টার পর বেশির ভাগ রাস্তায় পুলিশ থাকে না বললেই চলে। করোনার কারণে কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হয়ে পড়ায় অপরাধপ্রবণতা আগের চেয়ে বেড়েছে। যে কারণে প্রহরাব্যবস্থা আগের চেয়ে জোরদার করা জরুরি হয়ে উঠেছে। শীতে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যেও। ফলে তাদের তৎপরতায় দেখা দিয়েছে শিথিলতা। এর ফলে অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠার সাহস পাচ্ছে। চালকদের মধ্যে রাতে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা বেড়েছে। রাজধানীর জননিরাপত্তার স্বার্থে রাতের বেলা রাজপথে পর্যাপ্ত চেকপোস্ট থাকা দরকার। এর পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারি বাড়াতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে অপরাধের দ্রুত বিচার। বিশেষ করে ছিনতাইকারী ও অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপর হতে হবে। নিজেদের সুনামের স্বার্থেই জননিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে, এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর